একদিন আমরা সবাই মিলে তোমার জন্য
মোমবাতির আলো ঘিরে সভা করেছিলাম।
তোমার ছবি সমুখে রেখে
ফুল মালা ধুপে ঘর সাজিয়েছিলাম।
তোমার চোখে তারার ভাষা ছিল,
অনর্গল বলে চলেছ...
দ্যখতো সন্তান সন্ততিরা ঘরে ফিরল কিনা!
সব পাখীরা একে একে কুলায় ফিরে গেল,
আমাদের বুলবুলির কি এখনো সময় হয়নি?
তোমার বাগানে চাঁপার কলি
আজো ওরা ফুটেছে?
এই বসন্তে ওরা অনেক অনেক ফুটে থাকে।
তুমি ছিলেনা কদিন বাড়িতে
আমি ওদের জল দিতাম দেখভাল করতাম।
গ্রিলের ধার ঘেঁসে তরুলতার লাল লাল ফুল
আমায় অবাক করে,
তোমার হাসিমুখ মনে করিয়ে দিত বারবার।
বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি
তুমি আর আগের দিনের মতন গান করনা।
তোমার মুখে কিছু কিছু গান বেশ সুন্দর।
তুমি যখন মন প্রাণ দিয়ে গাও।
দীপের শিখার মত আলো চারিদিক জ্বলে উঠত।
আমি নিরবে শুনতাম,
শুনতে শুনতে হারিয়ে যেতাম জানিনা কোথায়।
যদিও কম শুনবার অসুখ আমার ছিল।
তবু ও বুঝে নিতাম
ঠোঁটের ওঠা নামায় স্বাভবিক সুরের গতি।
রীতিমত আমিও দুলে দুলে উঠতাম।
দ্যাখতো মনা,
কলিংবেলটা চেনা সুরে যেন বাজল;
ওই বোধহয় তোমার বুলবুলি এলো।
আসেনি না! আমি বোধহয় ভুল শুনেছি;
শোনো, দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে দাও।
আমি এবার একটু সান্ধ্যভ্রমনে যাব।
পথে ঘাটে বড্ড বেশি গাড়ি ঘোড়ার যন্ত্রণা...
লাঠিটা কোথায়? দেবে?
আহা... ওইতো দরজার পাশে।
আমি যাই... ওহ যাই বলতে নেই তাইনা?
দেরী হলে চিন্তা করোনা।
আমি ঠিক ফিরে আসব কথা দিলাম।