এরা বুঝি আধপোড়া রুটিকে চাঁদ ভাবে
প্রিয়ার চোখে একটু আলো খুঁজতে খুঁজতে
     তাঁর কাছে হয়ে যায় এক বাক্স দেশলাই।
     নিজে ভীষণভাবে পুড়তে থাকে
     দগ্ধ হতে হতে কেমন যেন ফুরিয়ে যায়।
সন্তানের কাছে হতে চায় আদর্শ পিতা
শরীরের সবটুকু শ্রম নিংড়ে দিয়ে
নিজেকে ছিবড়ে করে তোলে দিনে দিনে।
মেয়েটা দুলতে চায় দোলনায়
ঠিক রূপকথার রাজকন্যার মতন।
    দুচোখে আলিদিনের সেই প্রদীপটা খোঁজে  
    অসহায় হয়ে চোখে জল চিক চিক যন্ত্রণা।
পরক্ষনে দুই চোখের তারায় চকমকি ঘসে
আলো জ্বালিয়ে পরম পিতা হয়ে ওঠে।
নিজের বলিষ্ঠ হাতুড়ী পেটানো
হাত দুটো এগিয়ে দিয়ে আদর করে ডাকে
এই যে মা তোর দোলনা প্রস্তুত।
দুলতে থাক দুলতে থাক
অফুরান কাল দুলতে থাক আমায় ঘিরে ঘিরে।


যারা শুনবার তারা শুনছে
যারা দেখাবার তারা দেখছে
কেউ দেখেও না দেখার ভান করছে
তবু কেউ কেউ ওদের চেনার চেষ্টা করছে
ওরা ভাগ্যের চাকাটাকে ওলটানোর কথা ভাবছে।
ওরাই পারবে নিশ্চিত পারবে
একদিন স্বপ্নটাকে
সূর্যের প্রখর আলোয় মেলে দেবে।
আমি আছি আপনি আছেন
আরও আছে যাদের নেই কিছু হারাবার।
মনের আঁচে ঠিক গরম হবে লোহা
ওদের ইচ্ছার ইস্তেহার ঠিক পাল্টে দেবে
নিপীড়িত জনতার যত অন্ধকার।
ওরা যে দিনবদলের আসল কারিগর।