এক সর্বনাশীর কথা
মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ায়
উড়ছে আঁচল তোর...
মেঘে যেমন বিদ্যুৎ খেলে যায়
দেখি তোর ছোঁয়াতেই তাই।
আমিই জানি আমার যে কি হয়
আমার রঙিন পাল ছিঁড়ে যায়
অসহায় হাল ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়
পড়ে যায় মহা মুশকিলে
অথই জলে সাঁতার গেছি ভুলে
একেবারে ডুবে যায় মাঝ দরিয়ায়।
তাই কি আছে নিস্তার মরন আমার নেই
জলের নিচে বুদ্বুদে জলপরী দেখি তুই!
এক নিমেষে নিঃশ্বাস ভরে বাঁচিয়ে রেখে দিলি।
মুখের ভিতর মুখ অজানা এক গন্ধ সুখ।
জলের স্রোতে ভাসছে অগাধ এলোচুল
লক্ষ সাপের ফণা ছোবলে ছোবলে বিষ কণা
বিষে বিষে শরীর আমার অকাল-নীল বসন্ত,
তোর বুকেতে মাথা বন্ধ চোখের পাতা।
ঘুমের ভিতর স্বপ্ন নাকি স্বপ্নে এলি তুই
তোর দুচোখে জল ঝরে,
স্থির থাকি বল কিকরে?
ছুটিয়ে দিলাম পঙ্খিরাজ মাথায় রুদ্র তাজ
কোন দানবের যন্ত্রণাতে অকালে ফুল ঝরে
রক্ত ঝরায় দেখি দুনিয়ায় রক্তকমল ফোটে
তরোয়ালের ঝঞ্ঝনিতে মরবে দানব এক্ষুনি;
তোর মুখেতে হাসি আমি দেখতে ভালবাসি
কথা ঠিকই ছিল থাকবি সাথে সাথে
সারাজীবন ধরে পূর্ণিমা আর অমার রজনীতে।
হারিয়ে কোথায় গেলি আমার সর্বনাশী।