দারুন এক প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা দাঁড়িয়ে
কে যেন নির্দেশ দেয়
''এক হয়ে যাও
মিশে যাও ঢুকে যাও দেশলাই বক্সে।
বাকিটুকু আমি বা আমরা বুঝে নেব।''
যেমন থাকে হৃদয়হীন রোবট
যে হাসেনা কাঁদেনা চোখের জল ফেলেনা
এমনি কি প্রতিবাদ করবার ক্ষমতাও তাঁর থাকেনা।

আলাদা করে কোন আকাশ নেই
সাগর নেই অরণ্য নেই
সূর্য চন্দ্র তারা কিচ্ছু নেই।
বাতাসহীন যেন একটা দেশ।
পাখীরা থাকলেও ডাকবেনা, ফুলেরা ফুটবেনা
স্বাধীনতা প্রতিবাদ বলে কিছু হয়না।
মাতা নত কর যেন সবাই ক্রীতদাস।
বিচিত্রতায় এক্য যেন কেউ না খোঁজে
শিকড় ভুলে গাছে শুধু জল দিয়ে যাও।''

দেশ দুনিয়া অবাক বিস্ময়ে হতবাক!
সত্যিইতো এ এক নতুন দেশ নব অভিধান
যেখানে প্রতিবাদ নেই স্বাধীনতা নেই ভালবাসা নেই;
আছে শুধু নির্মম নিষ্ঠুর পরাধীনতা।

তবে একটা ঘটনা বদলে দিল সব দৃশ্যমানতা।
একটা দোয়েল শিস দিতে দিতে
উড়ে বসল সিংহাসনে আসীন ব্যক্তির কফিন সাদা উষ্ণীষে।
আর তারপরেই পাহাড় থেকে নেমে এলো অরণ্য
মেঘের ঘরে তাড়াহুড়োয় ঘন ঘন বজ্রপাতে অঝোর বৃষ্টি
গাঙের জলে এলো বান জল ছুটল রক্ত ধুয়ে দিতে।
একটা শিশু কেঁদে উঠল তীক্ষ্ণস্বরে
- এই মা চুপ করে আছিস কেন?
আমার যে বড় খিদে নেগেছে!
দে দুটি খেতে দে।