আমরা ডাক্তার দিদিকে খুঁজছি
কোথায় আছে কেউ কি বলতে পারো?
বলেছিল সময় হলে আসবেই আসবে
আমাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারবেই না।
আমাদের পাড়ার ক্লাবে দিদিই মধ্যমণি।
স্বাধীনতা ৭৮ এর সকালে
আমাদের গ্রামের সবার গর্ব
সদা হাসিখুশি দিদি পতাকা উত্তোলন করবে।
পাড়ার কচিকাচারা সেই আশায় বুক বেঁধেছে
সবই প্রস্তুত... বাকি শুধু একটা তেরঙ্গা পতাকা।
দিদি বলেছিল এনে দেব কলকাতা থেকে।

আমাদের দিদি কথা দিলে কথা রাখে
কতবার গল্পে গল্পে বলেছে জীবনের রূপকথা।
দ্যাখ আমিওতো খুব সাধারন
আমি কিন্তু পেরেছি।
পায়ে পায়ে শিখর সিঁড়ি খুঁজে নেবার।
চোখে ছিল নিবিড় ফসল স্বপ্ন
বুকে ছিল অদম্য দুর্মর জেদ
ঝড়ের মুখোমুখি দাঁড়াবার এক সমুদ্র সাহস।
তোরাও ঠিক পারবি দেশের আলো হতে।

সেই তুমি আজ কেন লুকোচুরি খেলছ!
আমরা সবাই তোমার অপেক্ষায় রাত্রি জাগছি।
কিন্তু তুমি কোথায়?  
কর্পূরের মতন উধাও হয়ে গেছ একেবারে...
ঘরে বাইরে স্টেশন চ্বতরে হাসপাতালের করিডরে।
তোমায় যারা চেনে জানে কেউ কিছু বলছেনা;
তোমার মুঠোফোন ও আর বাজছেনা।
রাত ফুরালেই স্বাধীনতা ৭৮-এর সকাল।

কাগজে কলমে হল্লাবোল মিডিয়ায়
অনেকে অনেক কিছু বলে চলেছে...
তুমি নাকি টুকরো টুকরো
তুমি নাকি আর এই পৃথিবীতে নেই।
আমরা কিন্তু এই কথা বিশ্বাস করিনি এক্কেবারে।
আমরা অন্তর থেকে তোমাকেই চাই ডাক্তার দিদি
তুমি হাসিমুখে আসবে ধবধবে সাদা আপ্রনে
দীপ্ত গরিমায় গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে...
নীল আকাশে উড়িয়ে দেবে স্বাধীনতা ৭৮ এর পতাকা।
তোমার শেখান ঐক্যতানে সবাই গাইব
''জন গন মন অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্যবিধাতা"