বদ্যির গল্প শুনে
ছোটদির সর্দি হোল
বরদির হাচ্ছি পেল
ন'দি ভিরমি খেল
সেজদির হাসি পেল
বৌদির কান্না পেল।
বাড়ি যেন চিড়িয়াখানা
ভাঙে কারা দরজাখানা
হোল কী কি হোল ভাই
আওয়াজে কান পাতা দায়
আগুনে পুড়ল কি কেউ
ভুলো ভয়ে বেজায় চেঁচায়।
দমকলে খবর গেল
থানা থেকে পুলিশ এলো
সুযোগ বুঝে ছিঁচকে চোরে
লুকালো ঠাকুর ঘরে
ঠাকুরের বাসন গুলো
কি ভীষণ শব্দ হোল।
শব্দ শুনে সবাই কেমন
দাঁড়িয়ে গেল ছিল যেমন
সময় যেন থমকে গেছে
ছবির মতন দাঁড়িয়ে আছে
চোর ভায়া বিপদ বুঝে
মূর্ছা গেল উঠোন মাঝে।
সিঁড়ি দিয়ে কর্তা এলেন
চশমা মুছে চক্ষু মেলেন
বাজখাই এক গলার সুরে
রসিয়ে বলেন ঘুরে ফিরে
চোরের ভয়ে আমরা ছিলাম
এবার যেন স্বস্তি পেলাম।
জল ঝরে চোরের চোখে
কেঁদে বলে শুকনো মুখে
পেটে ছিল খিদে বড়ই
ঠাকুর ঘরে গিয়েছি তাই
বদ্যির ওষুধ দিতে এসে
মস্ত ফাঁসা গেছি ফেঁসে।
*** দুই কবির প্রেরনায় আমার এই কবিতা। নাম না হয় পরেই বলব। দেখি এখন কে কি বলে।