অতর্কিতে মহাবিস্ময় উপস্থিত
একের পর এক শরীর ঘিরে চলছে তাণ্ডব
অদৃশ্য মেঘদুতের চিত্রনাট্যে চূড়ান্ত চলচিত্র।
অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র যন্ত্রবৎ সঞ্জয়ের কাছে
মন দিয়ে শ্রবনে সবটা অবলোকন করছিল।
তারপর...  
তারপর তাঁর চিৎকার করবার ক্ষমতা হরণ...
মুঠিবদ্ধ হাত অকেজো চোখের নিমেষে...
ঘন ঘন মাথা নাড়ানো থেঁতলে বন্ধ করবার চেষ্টা
দুরন্ত দুপায়ে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হলনা;
চূড়ান্ত শিখরের পথ শক্তিতে দ্বিধাবিভক্ত।
রক্তসিক্ত বসুন্ধরায় শয়তানের বীজ মিশে যায়।
তারপর... তারপর আমায় ক্ষমা করবেন।

***
আকাশ ভাঙ্গা নির্যাতনে দেশের মাথা নত।
প্রকৃতির সুন্দর সৃষ্টি ষড়যন্ত্রে নষ্ট।
যে জীবন সেচন করবার জন্য শপথ নিয়েছিল,
সে জীবন উৎসর্গ হয় রাষ্ট্রের লোভী আগুনে।
সে ছিল স্বছ সরল যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
তাই কি তাঁর মরণ হল কংসের কারাগারে?

তারপর...
কি আশ্চর্য! তাকে কিছুতেই থামানো গেলনা।
সে আরও বেশি দীপ্যমান হয়ে উঠেছে মৃত্যুতে।
তাঁর নিভে যাওয়া প্রদীপে বিস্ময় আগুন!
সে আগুন নিয়ে জ্বলে জ্বলে উঠছে,
এক একটা নির্জন দ্বীপ
জ্বলে জ্বলে উঠছে, আরো আরো সব নক্ষত্র।
সবাই বলছে এই মৃত্যুর হোক সঠিক মূল্যায়ন;
ঘরে বাইরে আনাচে কানাচে দেশে বিদেশে
সবাই এক বাক্যে চায়ছে আঁধারমুক্ত সকাল।
ক্ষমতাধারীরা সব এখন উদার সওদাগর  
কালের চাকাকে পিছনে ফিরাতে চায়।

তারপর...
তারপরেও সে জলজ্যন্ত সুতীক্ষ্ণ প্রতিবাদ।
ক্ষমতার প্রাসাদ ছাড়খার করবার তীব্র অঙ্গীকার।
নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে দেবার হয়ে ওঠে হাতিয়ার।
এখন সে তূন থেকে ছুটে যাওয়া
ধারালো তীরের ফলা।