আবার তুমি ঝড়কে সাথী করো
তুমি দুর্দম তুমি দুর্বিনীত
তুমি কালবৈশাখী।
তোমার দীপ্ত জাগ্রত দুই আঁখি।
শুকনো পাতা নিমেষে উড়িয়ে দাও।
হয়ে ওঠো আজ প্রবল ঘূর্ণি ঝড়।
সে ঝড়ের নাম যেন হয়
বিদ্রোহী কবি নজরুল।
আবার তুমি চূর্ণী নদীর ঘূর্ণি হাওয়ায়
নিশান তুলে বিষের বাঁশি বাজাও।
চমকে জাগুক আধমরা যত জীবন।
ধুমকেতু হয়ে পোড়াও
যত সব পরজীবী মহাজন।
তুমি নটরাজ ডমুরু বাজিয়ে
নাচো নাচো প্রলয় নাচন নাচো।
উঁচু ওই প্রাসাদটাকে দাও গুঁড়িয়ে দাও
মান সম্মান ভেদাভেদ যত
হয়ে যাক সমাধান।
সে নাচনের নাম যেন হয়
বিদ্রোহী কবি নজরুল।
আবার তুমি রুখে দাড়াও
ভীম কারার ওই ভিত্তি নাড়ি।
আজো বাইরে ঘরে মাঠ ময়দানে
বড় অপমানিতা অসহায় অবলা নারী।
তোমার কলমের আখরে আখরে
নারী জাগানিয়া গান শুনিয়ে যাও।
তোমার বজ্ররবে ঝমঝমিয়ে
অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরিয়ে দাও।
সে গানের নাম যেন হয়
বিদ্রোহী কবি নজরুল।