আমি ও আমার মতন
শেষ অক্ষর পর্যন্ত হেঁটে গেলাম
যদি কিছু পাই
যদি কিছু পেয়ে যাই ফাঁকতালে
নাহ কিচ্ছু পাইনি।
সবই কেউনা কেউ খুবলে খেয়েছে
নয়তো পদাঘাতে থেঁতলে দিয়ে গেছে
ভাবখানা এমন নিজে খাবনা
অন্যকেও খেতে দেবনা।
নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ আর কি!
অবশ্য তাঁর মধ্যেও যা পেয়েছি
সেটা না বললে যে আমি ইতর শ্রেণীর হয়ে যাব।

আমার আঙুলগুলো এখন আর নিয়ন্ত্রণ মানেনা
হৃদয়ের সাগরে অন্তহীন লক্ষ্যবিহীন
এক নাবিকের আত্মজীবনী ছেঁড়া পাতা।
তবু সব সবটুক হামলে পড়ে চেখে দেখি
রক্ত মাংসের গন্ধ আর নাকে লাগেনা
নিজেকে কেমন যেন জঘন্ন কীট কীট মনে হয়।
কিলবিল করে ওঠে ইচ্ছার আগুন
বাসনা চরিতার্থ করবার দুরন্ত এক ইচ্ছা।
বাসবদত্তার গলিতে রগরগে রঙের প্রলেপে
নিয়নের আলোয় নিজেকে নগ্ন করি।
লোমকূপের ডগায় যে কামের আগুন
সে আগুন নিমেষে দাবানল
আমি পুড়তে থাকি, নিরন্তর জ্বলতে থাকি।