অনেকদিন তোমার কোন খবর নেই। আর আসরে আসনা কেন? শরীর ভালো নেই বুঝি। নাকি পানকৌড়ির মতন ডুব দিয়েছ অগাধ জলে। তারপর একদিন ভুস করে জল থেকে উঠে ভিজে পালকে টপ টপ করে কবিতা ছড়িয়ে চলে যাবে। মাঝে মাঝেই হারিয়ে যাও কোথায় যে যাও কে জানে! নিবিড় কোন বৃষ্টি অরণ্যে? নাকি নীল সাগরের জলে নাবিক হতে? কিম্বা তপ্ত বালুর উপর পায়ের ছাপ রেখে মরুদ্যান খুঁজে বেড়াচ্ছ! তুমি না এলে এই আসর কেমন যেন উজ্জলতা হারায় মনে হয় যেন মরা চাঁদের আলো। কেমন যেন রক্তহীন সব মুখচ্ছবি।
তুমি এলে তাঁর কথা খুব বল যার সাথে ব্রিজের ধারে প্রথম দেখা হয়েছিল।তাঁর বাড়ির দেয়াল ফাটিয়ে দেওয়া অশত্থ চারা তোমার কাছে হয়ে যেত যেন ড্যাফোডিল। তুমিই বলেছ সে অপ্সরা নয় তবু সে তোমার কাছে ছিল যেন জীবন্ত নার্গিস। সরোবরের জলে উপুড় হয়ে একমনে দেখলেই তুমি তাকে দেখতে পাও। সেকি এখন রবি ঠাকুরের গানের মহড়া দিতে গেছে! তাই তুমি এখন দেয়ালে কান পেতে তাঁর গান শুনতে চলে গেছ... ''আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে''। কতবার তুমি বলেছ ঐ দাড়িওয়ালা লোকটার প্রতি তোমার মনে মনে ভীষণ হিংসা। আমি বিশ্বাস করিনি তোমার প্রতি লেখনীতে ঐ মানুষটা অঘোষিত ভাবে উঠে আসত।
আর লুকোচুরি নয় শাহনুর এবার ফিরে এসো... সবাই বলেছে তুমি নাকি আসবেনা তাঁর কবরে ফুল দিতে গিয়ে নিজেই ফুল হয়ে গেছ। আমি বিশ্বাস করিনা আমার দৃঢ় সত্য বলে জানি তুমি আসবেই আসবে।