কি যেন হারিয়ে গিয়েছে
খুঁজে বেড়াচ্ছি জলে জঙ্গলে শুন্যে মহাশুন্যে।
পায়ের গোড়ালি ভীষণ টন টন করছে
কি জানি হয়তো
অনেক পথ হাঁটবার ফসল।
তার চে বরং কাজে মন দিই;
খুব চেনা কিছু খুঁজছি,
অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজছি,
যেটা ছাড়া মানুষ বাঁচেনা।
দেখা পেলে আঁজলা ভরে নেব দুইহাতে
তা হবার উপায় নেই ...
আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে গলে যায়
বাতাসে মিশে যায়, পাহাড়ের মাথায় চড়ে যায়
সমদ্রের ফেনায় ফেনায় ফিরে যায়
আমায় দেখিয়ে দেখিয়ে ওরা হাসে বিদ্রুপ করে।
ওরা যে ছিলই ছিল
আমের মুকুলে ধানের শিসে সজনের সুবাসে
কারা যেন বিষ ছড়িয়ে ওদের ভাগিয়ে দিয়েছে।
বলেছে যা তোরা এখানে আঁধার আনব আমরা।
এসব শুনে আমার মাথা আর কাজ করেনা
আমি যা চাই তা এরা কেউ চায়না।
এরা পরজীবীর মতন অন্যের নিয়ে বাঁচতে চায়।
এরা কেউ তাঁর সন্ধান দিতে পারবেনা।
নাহ ডান পায়ের অসহ্য যন্ত্রণায় হৃদয় কুঁকড়ে যায়।
একী! এটা একটা জোঁক!
আমারই রক্ত খেয়ে ফুলে ফেপে উঠেছে।
এখনি ওটাকে দুই পায়ে দলতে হবে।
পায়ের তলায় পিশে মারতে হবে।
তবেই হয়তো তাঁর খোঁজ পাব।
ওই জোঁকের মতন সব ওরা স্বপ্নগুলো খেয়ে নেয়
আলোর উৎস মুখ পাথর দিয়ে চাপা দেয়
আফিমের নেশার মতন ঝুলিতে রাখে
জীবন উচ্ছন্নে বয়ে নিয়ে যাবার ভিক্ষান্ন।
আমি শিরদাঁড়া বিক্রি করিনি
আমাকে উঠে দাঁড়াতেই হবে খুঁজতে হবে।
কবে আমি চিৎকার করে বলতে পারব
আমার স্বপ্নগুলো আর চুরি হতে দেবনা
দরকার হলে রক্ত ছুঁয়ে ঝড়কে ডেকে নেব
প্রদীপের সলতে উস্কে আলো জ্বালতেই হবে।
ওই স্বপ্নের দিনগুলো যে আছে আমাদের অপেক্ষায়।