আহা...
তোমার কবিতার জন্য
পৃথিবীর শরীর জুড়ে ছড়িয়ে রেখেছি
সবুজ ঘাসে নিবিড় যত শিশির।
সূর্যের আলো গায়ে মাথায় মুখে মেখে
আশ্চর্য আবেগি সুরে গভীর আমন্ত্রন
এসো...
পাখীর সুরে ভোর হয়েছে কখন জানিনা
আমিও যে ছিলাম তোমার নির্ঘুম পথ চেয়ে;
ঘুম আসবে বলে শুনতে চেয়েছিলে
ঘুমপাড়ানি গান শোনাতে পারিনি।
আজ শোনাবো, শিখেছি তাঁর কাছে।
মেয়ে...
আশ্চর্য সেই মেয়ে গেয়ে ওঠে উজানি গান
গানে গল্পে সুরে ফেলে আসা রূপকথার মতন।
নিমেষে শ্রোতার হৃদয় নিবিড় আবেশে আচ্ছন্ন!
যেন ঝড় থেমে যাবার পর
আবার উঠে দাঁড়াবার পবিত্র আগমনী প্রস্তুতি।
তারপর...
মুখের বানী যেন তাঁর পাহাড়ি ঝোরা
বয়ে চলে পাহাড় ডিঙিয়ে কলকল কলকল...
গানের সুর তার একান্ত পোষা দোয়েল
মধুর সুর শুনে শুনে অচেনা দেশে যাওয়া।
গল্পে উঠে আসে মাটির গন্ধ মেশা বাড়ির উঠান।
মা মেয়েদের নিত্য অবহেলা যন্ত্রণার আঁতুড়ঘর
ভুখা পেটে মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখা ছায়াছবি।
সুখ দুখ জাগানিয়া যত নকশীকাঁথার মাঠ।
আলো...
মঞ্চের যত আলো সব যেন তার সহচরী
তাই আলোকিত মুখে অনর্গল ঝরে আলোকধারা।
একে একে উঠে আসে
অনালোকিত নারীর অশ্রুত যত অমৃত গান।
শেষ হয়ে যে শেষ হয়ে যায়না, থাকে অনুরণনে।
ঘুমপাড়ানি গানে সময় বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছিল।
তারপর রাত হোল গভীর।
যাবো...
আজ জোনাকি মনে তোমার বাড়ি যাবো;
যত অনিদ্রা সরিয়ে ঘুমের দেশে দিও পাড়ি।