অতিদূর নগরীর পর ব্যাপ্তিতে শুধু সবুজ ঘাঁস
তোমাকেই শুধু ভালোবাসি এখনো আমি মানসি দাস।
শালের নীবিড় ছায়াতলে-গ্রীষ্মের কোনো এক সকালে
তোমারে পেয়েছিলাম খুঁজে সুকোমল শীতল শিশিরে
সোনার গলিত পীত চাঁদ উঠতো যখন অন্তরিক্ষে
ওষ্ঠ অধরের আলিঙ্গন দিত তোমার স্নিগ্ধ চিবুকে
সন্ধ্যার ধ্রুব তারারো পড়ে তোমাকে পেতে দীর্ঘশ্বাষ
উষার অরুনীমা আলোয় যে প্রেম দিয়েছে মানসী দাস।
নগরের অনন্ত অন্ধকারে মৃগ তৃষ্ণিকার মতো যেন
প্রেমের পরশ খুঁজে পাই ক্লান্তির পর হয়তো কখনো
বিবর্ন পৃথিবীর এইখানে ঢের দিন থেকে মনে হয়
ক্রমাগত জীবন হয়েছে মধ্যযুগের মতো যে ক্ষয়-
কামান্ধ পুরুষের জোয়ারে প্রেম খুঁজে কাঁদে সব নারী
আমি মধ্য যুগের পুরুষ কি করে তোমারে ভূলতে পারী
ভালোবাসার সহিষ্ণুতার এখানে নেই কোনো উচ্ছাস
সবুজ দেশের মৃত্তিকায় গড়া যেন সে মানসী দাস।