প্রতিকার বৃত্ত আয়োজনে ঢের দিন থেকে
পেয়েছি বোধহয় মোক্ষম তৃপ্ততা ।
বারংবার শীতঘুমের অলসতায়,
কূহকের ব্যাপ্তি তে এলিয়ে দিয়েছি ব্যাঙের মতো আড়ষ্ট শরীর।
সুতল কূপগন্ডি থেকে কাটা কম্পাসের বিন্দু থেকে
মেপে নিতে চেয়েছি গোলকশূ্ন্য কে বৃত্তাকারে- স্বপষ্ট অনুভবে।
দেখেছি হাতে গোনা কয়েকটি নক্ষত্র সম তার অবয়ব।
দ্বাদশীশুক্লার চাঁদ মাঝে মাঝে স্তম্ভিত করে
ঝরে পড়ে শ্রাবন ধারার মতো স্বর্ণালী সন্ধ্যায়।
কান পেতে শুনি সমুদ্রের মধুর কল্লোল আর-
প্রবাহমান নদীর অসীম জলরাশির কোরাস
সৃজনতার তৃপ্ততা কে অনুমেয় ভেবে
সুষুপ্ত থাকতে চেয়েছি পার্থিব আয়োজনে-স্ত্রী আলিঙ্গনে।
আমি কীট -পতঙ্গ -সারমেয়র পাশে শুয়ে;
আলিঙ্গন করেও দেখেছি, কিন্তু
দুজনার স্বাদ- অনুভূতি -দর্শন কে স্বতন্ত্র করতে পারিনি
শুধু সৃজনের অনুরূপ জীব ভেবে থেকে গিয়েছি
অদ্ভুত কূহকে।