কিছুই বুঝিনি সেদিন প্রেম
কিছুই বুঝিনি সেদিন বিরহ-
কিছুই বুঝিনি সেদিন আমি
দূরত্ব শব্দটার কোনো মানে-
মুখোমুখি পেয়ালার উল্লাসে
সকাল থেকে কখন সন্ধ্যা কেটে গেছে
তন্ময় তৃষ্ণার্ত লোলুপ নয়নের এক পলকে-
তবু তৃষ্ণা মেটেনি আমার।
প্রতিদিন উদাস ছন্দরা উপহার দিয়ে গেছে
এক একটি সুন্দর প্রেমের কবিতা-
মনোরম অনুভূতিরা নিয়ত ঝংকার দিয়ে গেছে
ব্যক্ত-অব্যক্ত দূরন্ত আবেগের অলংকারে।
সেদিন বারবার পড়েছি সেই সব কবিতা
বেঁহুশ আনন্দে আক্ষরিক স্বাদ নিয়ে গেছি শুধু-
কিছুই খুঁজে পাইনি কখনো যদিও খুঁজে পাওয়ার
কোনো চেষ্টাও কিরিনি কখনো সুপ্ত প্রেমের 'পরিসর'।
এক আবছা আবরনের গন্ডিতে তাকে
অবিরত বদ্ধ রাখতে চেয়েছি পলকে পলকে।
ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে প্রায় কথা কাটাকাটি,
তুমুল ঝগড়া বেঁধেছে প্রনয়ের মাঝ দরিয়ায়,
কথা হয়নি সপ্তাহ ক্ষানেক-
কল হয়নি অজস্র- অজস্র বার-
ভেতরে ভেতরে গুমরে কেঁদে উঠেছে মন,
সকলের অজান্তে ভেসে গেছে চোখ অস্রুতে
তার নিরবতার বিষন্ন ঢেউয়ে।
অবচেতনে চমকে উঠেছি বিভৎস স্বপ্নে
তবু কম্পমান হৃদয়ের ভাষা বুঝিনি
আমি কোনো দিন-
এক শহর থেকে কয়েক শত মাইল
দূরত্বের শহরে থেকেছি দির্ঘদিন
তবু আমি দূরত্বের মানে বুঝিনি কোনো দিন।
বুঝলাম তো আমি আজ
সমস্ত সুপ্ত প্রেম-বিরহ-দূরত্বের ভাষা
এক শহরে থেকেও আমাদের দির্ঘ দূরত্বটা।