প্রচণ্ড গরমের পর এলো স্বস্তি,
কি অপার মহিমা রিমঝিম বৃষ্টি।
শণ শণ শব্দে বাতাসের ঝাপটা,
দুনিয়া আধার হলো দুরুদুরু বুকটা।
আকাশের বুক চীড়ে ঝরঝর ঝড়ছে,
বিদ্যুৎ ঝলকে আধার টা কাটছে।
বজ্রের নিনাদে কেঁপে উঠে ধরণী,
স্বল্প সে আলোকে অস্থির অরণী।
ঝোপ, ঝাড়, জঙ্গল, বড় বড় বৃক্ষ,
সবই দুলছে বায়ে, ঝাপটা যে মোক্ষ।
প্রকৃতি ক্ষেপেছে আজ, করছে সে তান্ডব,
মূর্তিমান্ আতঙ্ক হয়ে আজ সে জান্তব।
বৃক্ষ ও প্রানী কূল প্রান ভয়ে ছুটছে,
বাঁচিবার আকুতিতে দিকদ্বিক ঘুরছে।
ঠাঁই কে দিবে বল, সকলেই জড়োসরো,
সকলেই হীনবল,সকলেই মরোমরো।
কে বা শুনে কার কথা,কে বা বুঝে কার ব্যথা,
আপনারে আপনি চেনে আর কেউ নেই হেথা।
সকলে বুঝিল তবে, কে তবে পাশে রবে?
প্রকৃতির তাণ্ডব একেলা যুঝিল সবে।
যুঝিতে যুঝিতে কেউ টিকিল, কেউ হইলো বিনাশ,
প্রকৃতির মার, সবাই সমান, বটবৃক্ষ কিবা দূর্বা ঘাস।
এবার প্রকৃতি হয়েছে শান্ত,
ধ্বংসলীলা হয়েছে ক্ষান্ত।
প্রকৃতি আবারো সাজে,
কত কিছু কানে বাজে,
ধরণী আবারো মজে,
প্রকৃতির খাঁজে খাঁজে।
নব উদ্যমে সব কিছু মত্ত,
মিথ্যার বেসাথি ছেড়ে
খুঁজে ফিরে সত্য।
বৈশাখের ঊষ্ঞ তাপদাহ সর্বত্র যত্রতত্র,
প্রকৃতির শীতল পরশে জুড়ায় গাত্র।