শিক্ষিতদের শিক্ষা আছে, বিধায় সে শিক্ষিত, নচেৎ মূর্খ!
শিক্ষিতদের রকমফের আছে; সু-শিক্ষিত বা কু-শিক্ষিত।
শিক্ষিতদের প্রকৃতি ই বলে দেয়, তাদের শিক্ষার বৈধর্ম্য।
শিক্ষিতদের সু-শিক্ষা ই প্রকাশ করে; মার্জিত শিষ্ট কর্ম।


কু-শিক্ষিত যারা, তারা দেশ, জাতি ও সমাজের বিষফোঁড়া!
কু-শিক্ষিত যারা, তারা ধরিত্রীর বোঝা, অপরিচ্ছন্ন ছিবড়া!


সু-শিক্ষিত যারা, তারা দেশ, জাতি ও সমাজের সর্ব আদরণীয়!
সু-শিক্ষিত যারা, তাদের যুক্তি, দর্শন, বক্তব্য, কর্ম, ধর্ম সর্ব গ্রহণীয়!

বুদ্ধিমান যারা, তারা সু-শিক্ষিত ও কু-শিক্ষিতের পার্থক্য বুঝে,
বুদ্ধিমান যারা, তারা দেখে, বুঝে, শিখে। বদলায় নিজেকে!

নির্বাধ যারা, তারা সু-শিক্ষিত ও কু-শিক্ষিতের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে,
নির্বাধ যারা, তারা শুধু দেখে। না কিছু শিখে, না কিছু বুঝে!


সাধারণ যারা, তারা দেখে সব ই, তত্রাচ তারা বহুল নিশ্চুপ!
তারা তাদের স্বার্থাঘাতে ঘেউ ঘেউ করে কুকুরের মত খুব!
তারা বহুল ই বুঝে না; কি করা উচিৎ আর কি করা অনুচিৎ!
কামড়াতে যায়, হল্লা করে, বাজায় ঢাক, গাইতে থাকে যুদ্ধগীত!
তবে মার খেয়ে কুঁইকুঁই করতে করতে ফেরৎ আসে সর্বাধিক!
ভাগ্য প্রসন্ন হলে ফতে কদাচিৎ!

স্বল্প জ্ঞানী নিজেকে বদ্‌লায় না বরং শুধু প্রবঁচে!
স্বল্প জ্ঞানী বুঝে না, কখন ও কেন বদলাতে হবে!
স্বল্প জ্ঞানী জানে না, কি বদলাবে? জানে বাক চাতুর্য!
স্বল্প জ্ঞানী অকিঞ্চিৎকর অবতারনাকে ঠাউরে বৈদূর্য!

জ্ঞানী মানুষ বদলায় না, বদল করে।
জ্ঞানী মানুষ বদল করে বদলানোর প্রবণতা।
জ্ঞানী মানুষ জানে ও জানায়; পৃথিবী বদলায় না।
জ্ঞানী মানুষ উপলব্ধি করায় বাধ্যবাধকতা।

পৃথিবী বদলায় না, মানুষ বদলায়।
বদলায় মানুষের মন, মানসিকতা,
বদলায় মানুষের চিন্তা-চেতনা,
বদলায় মানুষের উপলব্ধি, বোধ্যতা।