প্রবোধ বাবু ভালো মানুষ, নির্ঝঞ্ঝাট লোক,
মনটা ভালো, দিল টা বড় আর সেবা করার ঝোঁক।
সবার দুঃখে ঝাঁপিয়ে পড়েন জান-প্রাণ দিয়ে,
কি এলাকা, কোন দেশ খোঁজ-খবর না নিয়ে।
মহৎ প্রাণ প্রবোধ বাবু ঘুরেন দেশ-বিদেশ,
সমাজসেবা আর দাতব্য কাজে সিদ্ধহস্ত বেশ।
দিন-কাল, শীত-গ্রীষ্ম, রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে,
সেবার ব্রতে ঝাঁপিয়ে পড়েন সব উপেক্ষা করে।
এদেশ হতে, ওদেশ হতে কত জনই আসে,
প্রবোধ বাবু সবার তরে ই কাজ করে যান হেসে।
মাঝে মাঝে এমনও হয়, কাজের এত্তো চাপ,
বাসায় ফেরার হয় না সময়, বুকে ধরে হাঁপ।
দুনিয়া জুড়ে প্রবোধ বাবুর কাজের তারিফ হয়,
তাই না দেখে প্রবোধ বাবু উল্লসিত রয়।
ও দিকে তার ঘর ভেসে যায়, ঘরের লোকের কষ্ট-ক্লেশ,
সমাজ সেবক প্রবোধ বাবু নিজের মতন আছেন বেশ।
প্রবোধ বাবু ব্যস্ত এতো, নিজের জন্য সময় কই,
ঘরের লোকের খোঁজ-খবর, তা তো বেশ দুরস্ত ই।
সমাজ সেবা করতে গিয়ে প্রবোধ বাবুর খেয়াল ই নেই,
বাসায় তার মায়ের অসুখ, দেখার জন্য কেউই নেই।
এমন সেবক কেমন সেবক বুঝার নাই তো বাকি,
নাম কামাবার প্রলোভনে সবটাই তার ফাঁকি।
ঘরের লোকের কষ্ট-দুঃখে যে রয় না পাশে,
সমাজ সেবক নামটি শুনে পাড়ার লোকে হাসে।