শুভ্র সাদা বকের দেশে চিল গিয়েছে ঢুকে,
বক গুলো তাই ছন্নছাড়া মরছে ধুকে ধুকে।
পশ্চিমের ঐ শকুন গুলো চিলের সহোদর,
রেন্ডার ঐ কাউয়া গুলোও চিল-শকুনের চর!
চিল, শকুন আর কাউয়া গুলো জোট বেধেছে ভারি,
বকের উপর হামলে পড়ে করছে বাড়াবাড়ি।
বকের দল মার খাচ্ছে আর খাচ্ছে ঝাড়ি,
ঐক্য বিহীন বকের দলের জোট বাধতে আড়ি।
দুঃখের কথা বলব কি তা এটাই বাস্তবতা,
দখলদার ঐ চিল আর শকুন ঘুরছে এথা উথা,
আঁচড়ে দিচ্ছে, কামড়ে দিচ্ছে, ঠুকরে দিচ্ছে গায়,
নিজের দেশে পরবাসী বকের কি উপায়?
চিল-শকুনের আগ্রাসনে বকের টনক নড়ে,
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তরে কসরৎ কত করে।
চিল-শকুনের বদমায়েশি বন্ধের অভিপ্রায়ে
বন্ধু, সুহৃৎ, মিত্র, মিতা সবার দোর ই নাড়ে।
বকের দলের বন্ধু যারা নপুংসক সব ই,
আল্লা আল্লা জিগির পারে, চিল দেখে খায় খাবি,
মুখে বলে আমরা সবাই বকের পাশেই আছি,
বাস্তবে তে চিল-শকুনের পা চাটা মাযহাব ই।
চিল আর শকুন লোভ দেখালেই বকের বন্ধু কাৎ,
বকের থেকে তফাৎ যেতে লাফান বারো হাত।
বকের দলের নপুংসক বন্ধু ছদ্মবেশী,
বকের দিকে তাকিয়ে হাসে মুনাফেকি হাসি।
চিল-শকুন আর কাক গুলোকে নোংরা বলেই জানি,
বন্ধু বেশী মুনাফেককেও ওই কিসিমের মানি।
বাধ্য হয়ে ই বীর বকে রা একলা লড়াই করে
চিল, শকুন আর কাউয়া গুলোর ঘাড়ের উপর পড়ে।
চিল, শকুন আর কাউয়া গুলোর অত্যাচারের তোরে,
বীর বকে রা রক্ত ঢেলে অনুপ নজির গড়ে।
শুভ্র সাদা বকের বুকটা টাটকা রক্তে লাল,
থমকে দাঁড়ায় এই ধরণী, থম্কায় মহাকাল।
চিল, শকুন আর কাউয়া গুলোর যতই বাড়ুক বাড়,
শুভ্র বকের গরিমা গাথা রইবে চিরকাল।