সে যদি আমার কাছে দিনের হিসেব চায়
আমি তা দিতে পারি অনায়াসে
দিনের হিসেব সব যত্ন করে নতুন পোষাকের মতোন
রেখেছি গুছিয়ে
দিনের হিসেব-
এখানে নতুন তেমন কী আর আছে,
এইতো নিত্য প্রয়োজনীয় গোটাকতেক জিনিসের
ব্যবহারের খতিয়ান মাত্র -
যেমন ধরো - সকালে উঠে প্রাত:কর্মাদি সারা
বাথরুম, দাঁদ ব্রাশ, নাস্তা খাওয়া, অফিস যাওয়া
সভ্যতার মুখোশটা যত্নকরে পরে থাকা
আর বার বার আয়নায় দেখে নেয়া
মুখোশের আড়ালের আমার চেহারাটা কেউ
যেন দেখে না ফেলে,
দিনের বেলায় আমি ভিষণ সভ্য বলে
কাউকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করলে
কিংবা চুমো খেতে মন চাইলেও
জড়িয়ে ধরতে কিংবা চুমো খেতে পারি না,
কারো স্তন কিংবা নিতম্বের ঢেউয়ে নৌকা ভাসানোর প্রবল বাসনা জাগলেও
আমি আমার সোনলি বাসনাগুলোকে কালো বেড়ালের মতো
কালো কাপর দিয়ে ঢেকে রাখি,
দিনের ক্যানভাসে দেবদূতদের শ্বেতশুভ্র পোষাকে আমি এক নকল দেবদূত
অতএব আমার দিনের হিসেবের খাতা নিট এণ্ড ক্লিন,
কিন্তু রাতের হিসেব তুমি চেয়ো না আমার কাছে
অন্ধকারের স্বপ্নপুরিতে আমি এক ভিন্ন মানুষ -
তাকে আমি দেখি নি কখনো
তাকে আমি চিনি না কখনো
সে যেন এক ধূর্ত-শকুন
কাম আর হিংস্রতা যার রক্তে মেশানো
দেবদূতের শ্বেতশুভ্র বসন তার শরীরে নেই
রাতের হেরেমে কেবলই তাই ভোগের পেয়ালা আমি নি:শেষ করি নি:শ্বাসে
দিন আমাকে বানিছে দেবদূত
রাত বানিয়েছে আদিম নিষাদ
দিনের হিসেব তাই যত চাও দিতে পারি
রাতের হিসেব তুমি চেয়ো না হে নারী ।
১৯.৩.১৭