বিল্পবের তন্দ্রাচ্ছন্ন আঁখি নেই, নেই হাওয়ার মতো ফিরে যাওয়ার চিরাচরিত গতি;
প্রয়োজনের তাগিদে বিপ্লব উঠে দাঁড়ায়, লাগলে রক্তঝরায়, জাতির ঘোর আঁধারে ছড়ায় জ্যোতি!!

বিপ্লব শোষিতের কোলজুড়ে জন্ম নেয়, জোয়ারহীন সাগরে আনে বাঁধভাঙা মুক্তির বরাত;
বিপ্লব মানে না ব্যারিকেড, গুনে না শোণিত হুমকি, আমিত্বের আসনে অধিকৃত প্রভুর নাক কাটা করাত!!

বিপ্লবের সুনির্দিষ্ট বাড়ি নেই, নেই দেশ থেকে দেশান্তরে জ্ঞাত কোনো মমতাময়ী স্বজন;
দশের বিপদে, দেশের দুর্দিনে জাতির খুশিতে বিপ্লব সদা ঢাল হয়ে করে ব্যজন!!

প্রহর ধীরে মুছে যায়, তারুণ্যের যবনিকা হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, বিলীন হয় দর্পের কুহেলিকা;
বিপ্লবের টগবগে গাত্রে পড়ে না প্রবীণের ছাপ, প্রতাপশালী নৃপতির বুকে এঁকে দেয় মুসলেকা!!

বিপ্লব অবহেলার ললাটে লালসালু বেঁধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে  
ছুটে চলে প্রতিবাদী ঐক্যের মিছিলে;
দুঃখের বেড়ি ছিঁড়ে, দাসত্বের বন্দনায় আনে ধ্বংসের কাঁপুনি যখন শৈবাল ছেঁয়ে যায় শাসকের বিলে।  

বিপ্লব চিনে না জাত, চিনে না ধর্ম গোত্র; মানে না কোনো শাসক-শোষকের বর্ম;
মহাজন তুমি যাকে হেয় করে বলো বৃথা এ শ্রম তা বিপ্লবী প্রতিবাদীর কর্ম!!