তুই আমার কবিতা শুনলি না আজ,
তুই আমায় মূল্য দিলি না আজ।
যে দিন হাজারো মানুষ কবিতা শুনবে আমার,
যে দিন হাজারো মানুষ কবিতা পড়বে আমার,
সে দিন আমি অভিমান করে তোর পানে চাইবো না।
একদিন কোটি ভক্ত আমার কবিতা নিয়ে মেতে থাকবে,
আর সেদিন আমি তোকে আমার কবিতা শুনাবো না।
তুই আমার বুকে আছিস আজও,
তুই আমার বুকে থাকবি সেদিনও,
কিন্তু আজ তুই কবিতা শুনলি না,
সেদিন আমি তোকে কবিতা শুনাবো না।
তুই আমার সব হলেও কবিতা হবি না।
তুই আমার সব হয়েও কবিতা শুনলি না।
তুই আমার ‘লজ্জাবতী তুমি’
তুই আমার ‘অশ্লীলতার অভিযোগ’
তোকে নিয়ে কবিতা লিখবো ঠিকই.
তুই ছাড়া আমার কবিতায় অপূর্ণতা।
তুই আমার জীবনের ছন্দ,
কবিতার ছন্দ পাইনি তাই।
তুই আমার কবিতা শুনলি না আজ,
তুই আমার বুকে এসেও করলি আঘাত।
তুইতো শুনেছিলিস তাকে, যে তোর কেউ না।
আজ কেন আমায় শুনলি না? অভিমানে?
তোর অভিমানতো আমি মিটিয়েছি ঠিকই,
তুই কি তবে মস্ক্ররা করলি আমার সাথে?
নাকি আমি সত্যি ভালো কবিতা লিখি না?
নাকি আমি তোর ভালবাসা বুঝতেই পারি না?
তুই শুনেছিলিস তাকে, তুই আমায় শুনলি না।
অভিমান আমি আজীবন পুশবো, কিন্তু?
কিন্তু কি লাভ বল? তুই যে আমারই থাকবি।
তুই আমার কবিতা শুনলি না আজ,
প্রথম কবিতা তোকে নিয়েই লিখেছিলাম।
তুই আমায় মূল্য দিলি না আজ,
তোকে আমি আগলে রাখি প্রতিটা কাল।
তুই আমার কবিতা শুনলি না আজ,
তুই শুনেছিলিস তাকে, যে তোর কেউ না।