প্রচলিত আছে "একজন ঘুমন্ত মানুষকে জাগানো যায়,
কিন্তু ঘুমের ভান ধরে থাকা মানুষকে জাগানোর উপায়?"
কী নিপুণা খেলুড়ি তুমি..!
সকল সংশয়-সন্দিহান ব্যতিরেকে বলছি,কী অসামান্য তোমার কারুকার্য..!
'তুমি যে দাবা বোর্ডের মাস্টারমাইন্ড' বস্তুত তা অস্বীকার করার সাধ্যি আমার নেই।
সাতপাঁচ না ভেবেই দিনের পর দিন ভুলভাল চাল দিয়ে গেছি কিন্তু চাল দিতে গিয়ে কখনোই ভুল হয় নি তোমার,
ঠাণ্ডা মাথায় বেশ খানিকটা সময় নিয়ে পরিকল্পনা মাফিক তুমি চাল দিয়ে গেছো।
যার ফলস্বরূপ তোমার মন্ত্রীর কাছে আমার সৈন্যদল হয়েছে ধরাশায়ী।
আচ্ছা,আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে কী দিয়ে আলপনা এঁকেছিলে,শুনি?
চুন নাকি চালগুঁড়ি?
মৃত্তিকা নাকি গেরুয়া?
প্রাকৃতিক রঞ্জক,হলদে ফুল নাকি কাঠকয়লার গুঁড়া?
এসবই তো প্রাকৃতিক উপকরণ তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো যে..!
কেন হলো,বলতে পারো?
আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে আজকাল আর রঙ বসে না,গড়িয়ে পড়ে যায়।
এর দায়ভার কার? কে নিবে এর দায়..?
তুমি নিবে?
ভাগ্যিস কাউকে 'সাইকোলোজিক্যাল টর্চার' করার দরুন কোনো শাস্তির বিধান এ-সমাজের প্রচলিত আইনে নেই।
যদি থাকতো তাহলে হয়তো তোমাকে একশত
এগারো বার ফাঁসির মঞ্চে উঠতে হতো,
অন্ততপক্ষে একশত এগারো বার।
তুমি একাধারে চিত্রশিল্পী,কী শৈল্পিক তোমার কারুকার্য!
আবার দাবা বোর্ডের মাস্টারমাইন্ড..!
তোমার বাহুর মদদে অঙ্কিত আলপনার দাগ যেন আমার অন্তঃদেশে চিরকালীন ক্ষত তৈয়র করে গেছে।
তাই তো নব্য কোনো রঙ তুলি সেখানে আর আঁচড় ফেলতে পারে না।
কী আশ্চর্য! তৎসত্ত্বেও তোমার প্রতি এই অদ্ভুত প্রলুব্ধতা,
যেন নিষিদ্ধ পুষ্পের সৌরভে মুগ্ধ হওয়া এক নির্বোধ প্রজাপতি..!