আমি তাহারই নামে গোপন সুরে বাঁধিয়াছি গীত, সে বুঝিলো না তবু বাজিলো হৃদয়ে প্রেম সঙ্গীত। সময়ের পথ বেয়ে বয়ে গেলো মধুমাস, তাহার স্মৃতির আঁচলে বাঁধিয়া রাখিলাম মোর শ্বাস।
তাহার প্রতিশ্রুতি অর্পণে অন্তরিন্দ্রিয় অদ্য উত্তাল ঢেউ,
গিয়াছি তাহা'তে ভাসিয়ে এ-খবর লইছে কি কেউ?
তাহার কেশের ঘ্রাণে মিশ্রিত পূর্ণিমার জ্যোৎস্না, হৃদয় প্রাঙ্গণে জাগিলো প্রেমের রঙিন বন্দনা।
ইশারায় কহিলাম,জবানে কিছু নহে,
সে বুঝিলো কি না জানি তবু চাহিলো সরল নয়নে।
একদিন অভিমানী বুকে সজল নয়নে চাহিলাম তাহার কপোল পানে,
ওষ্ঠপুটে খানিক রহস্যঘন হাসি দেখিয়া পড়িলাম কোণঠাসে।
আমি বিদিত হইয়াছি,সে মিশিয়াছে নিঃশব্দ প্রণয়ে,
আমি কেবল ভান করিয়াছিলাম— তিমির পাহারা'তে।
দূরে সরিয়া থাকিয়াছি তাহার নয়নালোক হইতে, দেখিয়াছি সে খুঁজিয়াছে আমায় তৃষ্ণার্ত চক্ষুতে।
এক প্রাতে তাহার শীতল কণ্ঠে মুখরিত হইলো মোর দুয়ার,
পড়িলাম এক গোলক ধাঁধা'য় ,দেখিতেছি কি আমি নব্য কোনো খোয়াব।
তাহার ভুজের স্পর্শে আত্নায় যেন ফিরিলো প্রাণ, কোমল গলায় বলিয়া উঠিলো, "ওহে,অভিমান করিয়া থাকিবে কি আর?
অষ্টপ্রহর ভেঙে এইতো আসিয়াছি ফিরে তোমার'ই নীড়ে— এসো নিখিল দুনিয়া ভুলে।"
তাহার অভিমুখে তুলিয়া আঁখি কহিলাম,
"পাখি,
যাহা মোরে দিয়াছে বিস্তর বিষাদ,
লইবো না আমি তাহার কোনো হিসাব;
তোমার প্রতীক্ষা'তে কত-শত বেলা ফুরিয়েছি
দেইনি কভুও আর কোথাও ঝাঁপ।"