লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে,
নির্বাক কবি চেয়ে আছে স্তুতিহীন চোখে ,
চেয়ে আছে পৌঢ় কলমের ডগায়, স্মৃতির আখড়ায় ।
উঁই পোকায় খাওয়া ডাইরির পাতা গুলো হাতে নিতেই
আঙ্গুলের ফাক গলিয়ে ঝুরঝুরে অক্ষর নামছে
ভূপৃষ্ঠ ছোঁয়ার প্রবল আক্রোশে ।
ছাই পাঁশ মিছে খুজা-খুজি ,কাব্য লেখার মত একটি অক্ষরও বাকি নেই।
অক্ষর খরায় ক্লান্ত কবি জীবনের মাঠ-ঘাট, নিরন্তর চষে বেড়ায় ,অলি-গলি বহুপ্থ,
গোধূলি হতে ঊষা লগ্ন শূন্যতায় ভরা ,অশ্বথ ,হিজল,তমাল
কোথাও অক্ষর নেই ,অক্ষরের আজ বড়ই আকাল ।
নিঃসঙ্গ কবির মিছে আতি-পাতি ,
প্রিয়তমার চোখে অলিক অক্ষর গিরি
কিংবা দ্রাক্ষা রসের মিথ অপ্সরী
নেই ,একটিও অক্ষর নেই,কোন পঙতি নেই
আপাদমস্তক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নাড়ছে ,
কোথাও কোন কাব্য নেই ।
কিন্তু চৌকাঠে খুদিত সময় টুকু
শত জঞ্জা ,জলোচ্ছাসে নির্বিকার,নিঃশব্দ চেয়ে আছে ।
“ অবেলার জোয়ারে আমি গা ধুয়ে নিয়েছি
বেলার জোয়ারে মন টানছে না,
লবনাক্ত জলের তিক্ততায় আমি হাপিয়ে উঠেছি।
এখন আর ইচ্ছে নেই, স্বাদ নেই ,কোন গন্ধও নেই
অনুভূতি গুলোর কোন অনুভূতি নেই
ফুরিয়ে গেছে ,
এক শুশুকেই শুষে নিয়েছে সব ”