-কি দেখো এতো?
-তোমাকে
-দেখে কি হবে?
-জানিনা
-তাহলে?
-তুমি সুন্দর
-তো?
-দেখি
-না, অন্যদিকে দেখো?
-কি দেখবো?
-আমাকে বাদে অন্যকিছু
-অন্যকিছু দেখে কি মন ভরবে?
-না ভরলে জোর করো।
-কেন, তোমাকে দেখা বারণ?
-হ্যাঁ, বারণ।
-এ বারণ শুনলে যে আমি শুকিয়ে বৃদ্ধ হয়ে যাবে।
-কে বল্লো?
-আমার অন্তর্যামী।
-আর কি বলে তোমার অন্তর্যামী?
-বলে অনেক কিছু।
- আর কি বলে শুনি?
-বলে, তোমাকে শুধু দেখতে।
- হ্যাঁ বলেছে উনাকে?
- হ্যাঁ।
-আবার চেয়ে আছো বেহায়ার মতো।
-দেখিনা একটু!
-এতো তোমাকে দেখি দেখি করো কেন? ছবিটা তো ওয়েলপেপারে সেভ করেই রেখেছো সেখানে দেখো।
-শুধু সেখানে দেখলে যে তোমাকে ছোঁয়ার আক্ষেপ বাড়ে।
-ছোঁও, তোমাকে কি বারণ করেছি?
-ছুঁই?
-না আমাকে এখন ছুঁবে না।
-তুমি তো ফ্রিজ হয়ে আছো।
-আমি এমনই।
-ফ্রিজ ভেঙে তোমাকে মুক্তি করি। যেভাবে বন্দি খাঁচার ভেতর থেকে একটি ফিনিক্স পাখির মুক্তি দেয় স্বর্গীয় দূত।
-মুক্তির মাঝেই কি মুক্তি আছে? সে'ই তো তোমার কাছেই ফিরতে হবে?
-হবে বৈকি, হবে।
-হবোনা, ফিরবোনা। আমি উড়বো, উড়তে চাই। তোমায় না বলে ক'য়ে একদিন সারাদিন উড়বো।
-উড়ো তুমি তো মুক্ত বিহঙ্গ।
-আমার যে পাখা নেই।
-তাতে কি? উড়তে তো পাখার প্রয়োজন হয়না।
-কিভাবে?
-দু'চোখ বন্ধ করে অনুভব করো তুমি উড়ে বেড়াচ্ছো শাদা মেঘে, আকাশে নীল ভাসছে। মেঘগুলো তোমায় ছুঁয়ে দিচ্ছে। অবাক চোখে তুমি চারিদিক দৃষ্টিপাত করছো। তোমার শরীরের কোন ভার নেই। জীবনে কোন হতাশা নেই, অন্ধকার নেই, তোমার সব ক্লান্তিগুলো মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ছে নীচে পৃথিবীর পথে একলা গন্তব্যহীন কবির ধুলিমাখা মলিন মুখে। আচমকা তার চোখ উপড়ে ওঠে। কিছুই পরিলক্ষিত হয়না তার। তোমার জলটুকু দিয়ে তার সারা শরীর ভিজে গেছে। তোমার ক্লান্তি ও মেঘের কান্নায় তার দু'চোখের অশ্রুজল ঢেকে গেছে। অনাগত পৃথিবীর পথে সে শুধুই হাটঁছে আর হাঁটছে। পথ আর ফুরোয় না। পথ আর ফুরোয় না। কবির চোখে শুধুই তোমাকে দেখার অসুখ। একদিন হয়তো সত্যিই তোমাকে না দেখতে পেয়ে বৃদ্ধ হয়ে যাবে।
অতঃপর,
এ জীবনের ইতি ঘটবে তোমার অগোচরে।
(স্বপ্ন ভেঙে) তবে তাই হোক। তোমাকে মুক্ত করে তোমাকে দেখার অসুখেই নইলে মরে যাই৷।
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
মুক্তমঞ্চ, জাবি।