খুব করে
একটি আদুরে ডাক শুনতে গিয়ে
কবে যে কোথায় চলে গিয়েছে বালক;

কবে যে কত হাজার মাইল দূরে,
অন্তের দেয়াল চিড়ে
তেপান্তর পেরিয়ে ঘাস ফুলের প্রেমকে আকড়ে ধরে
বেঁচে আছে স্যাঁতসেঁতে মাটির মতোন।
কখনো খরা এসে শুকিয়ে যায়,
চৌচির হয়ে যায় ঠাহর করতে পারেনা।

স্নিগ্ধ দোলে মেহগনির মতো উড়তে যেয়ে
থেমে যায় থমকে দাঁড়ায়।
সন্ধ্যার আকাশে ক্ষুদার্ত কাক যেমন ছুটে বেড়ায় দিশেহারার মতোন,
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মাঝি বাড়ি ফেরে খেয়া পারাপার শেষে।
বালক ফেরেনা, বসে থাকে;
সন্ধ্যা কালো হয়ে আসে, আরও কালো।

ঠিকানাহীনের মতো,
উদ্দেশ্যহীন এই পথ ফুরোয় না আর।

পুরোনো কিছু পিছু ডাকে,
লুকোচুরি খেলে অবুঝ বালকের সাথে।
স্মৃতির বন্দীশালায় কালো অক্ষর গুলো পুড়ে ঝাপসা হয়ে আসে।
ঝাপসা চোখে দৃষ্টির বাহিরে কাঁচের দেয়ালের ওপারে বোবা কান্নায় ফেটে পড়ে বালক।

হাত থেকে
"তুমি একটা বোকা ছেলে" লেখা
একটি শুভ্র লিফলেট উড়ে যায় ঝড়ে।

কালবোশেখী আসে ইউক্যালিপটাস বেয়ে
মেহগনি, তাল, জারুল ও অলকানন্দার উপর আছড়ে পড়ে
এবং নিঃশেষ হয়ে যায়।

এখন শুধুই বিলীন হওয়ার পালা কালবৈশাখীর তরে।।


১২ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১০:২৫
অলকানন্দা লেক, জাবি।