চারিদিক নিরব- নির্জনতা ।
হঠাৎ সুর তোলে ঝিঁঝিপোকা ।
শৃঙ্খলাবদ্ধ পিঁপড়ার সারি বেঁধে পথচলা ।
সাদা তুলা মেঘ ভেসে যায় দূর অজানায় ।
শিকারি ঈগলের নিশানায় দিকভ্রান্ত গাংচিল ।
মুক্ত মনে ডানা মেলে উড়ে রঙিন প্রজাপতি ।
শির উঁচু করা পাহাড় আকাশকে স্পর্শ করতে চায় ।
কুণ্ডলী পাকানো মশার ঝাঁকে ফিঙের আচকা ছোবল ।
সাঁঝের প্রদীপ জ্বলে জোনাকির নিভু নিভু আলোয় ।
রূপালী চাঁদের আভায় মুক্তা জ্বলে বিস্তীর্ণ বালুকণায় ।
ধেয়ে আসা জাহাজের ক্লান্ত নাবিক বন্দরে নোঙর ফেলার অপেক্ষায় ।
তীরের সর্পিল নারকেল গাছ আগন্তুক জাহাজকে স্বাগত জানায় ।
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউগুলো অবিরাম মাতাল নৃত্য করে সৈকতের বুকে ।
জানিনা কেন?
অন্তহীন নীল আকাশ অপলক চেয়ে দেখে সেই দৃশ্য ।
পদদলিত সৈকত, বালুকণা, কীট-পতঙ্গ ও লতা-গুল্মের নিদারুণ আর্তনাদ দিগন্তকে কষ্ট দেয় ।
হয়তো এরা স্রষ্টার কাছে কৃপা, ভালোবাসা কিংবা পরিত্রাণ প্রার্থনা করে ।
শান্ত হয় প্রকৃতি ।
ক্ষণিকের প্রাণচাঞ্চল্যতা, পরিতৃপ্তি এবং প্রশান্তি ।
কিন্তু, অদৃশ্য নিয়ম তার পথ চলে অজানা গন্তব্যে ।
মায়াবী জ্যোৎস্না রাতের হাতছানি ।
আচমকা বয়ে যায় মৃদু শীতল বাতাস ।
এক শিহরণ আচ্ছন্ন করে আমাকে ।
অনাবিল শুদ্ধতা এবং পবিত্র অনুভূতি ।