একুশ মানে—
মাথা নত না করা ।
শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ।
মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলা ।
রফিক, সালাম, শফিউর, বরকত, জব্বার, রামেশ্বর, অহিউল্লাহ, সিরাজুদ্দিন এবং আবদুল আউয়ালসহ অন্যরা ।
অমর এক শোকগাথা ।
স্বজন হারানো বেদনা!
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি ।
অ, আ, ই, ক, খ, গ ইত্যাদি বর্ণমালা ।
তাজা রক্তে রাঙানো ৫২’র মহান ভাস্বর এক অবিস্মরণীয় দিন ।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠা ।
আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তে গড়া শহীদ মিনার ।
স্পর্শানুভূতি, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এবং বিনম্র শ্রদ্ধাবনত শির ।
নগ্ন পদে শহীদ বেদীতে মহান ভাষা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ।
আত্ম অধিকার জাগ্রত করা ।
রৌদ্রদগ্ধ চেতনাকে শাণিত করা ।
জেগে ওঠার প্রেরণা ।
স্বাধীনতার বীজ বপন করা ।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করা ।
বাঙালির কপাল জুড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্ত-জয়টিকা ।
মহা আত্মত্যাগে অর্জিত ভাষাভিত্তিক স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয় ।
অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা ।
মহান ভাষা বীর শহীদদের স্মরণে ‘একুশে গ্রন্থমেলা’ ।
ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে উন্মুক্ত মঞ্চ ।
স্মৃতিচারণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, আলপণা আঁকা, কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি, পুষ্পাঞ্জলি, স্বরচিত কবিতা, আবৃত্তি, আলোচনাসভা, ক্রোড়পত্র, সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র ইত্যাদি পরিবেশন ।
বাংলা ভাষার গৌরবগাথা ।
চেতনার প্রতীক, অনুপ্রেরণা আর স্পর্ধিত অহংকার ।
আমাদের প্রাণের স্পন্দন ।
অমর একুশে ।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিসর্জনে অর্জিত ‘মাতৃভাষা দিবস’ সার্বজনীন ।
সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং আগামীর স্বপ্ন দেখা ।