পৌষালি শীত ।
চারিদিকে কুয়াশার আধিপত্য ।
কখনো ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া ৷
যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা ।
বিপর্যস্ত জনজীবন, অসহায় মানুষ ।
এক নিদারুণ মর্মব্যথা!
অনেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন ।
যদিও, প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যে ব্যত্যয় ঘটে না ।
কনকনে ঠাণ্ডায় শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় ।
রক্তিম নাকের ডগা এবং হাত-পায়ের আঙ্গুলগুলো অনুভূতিহীন ।
অচৈতন্য নীলাভ কর্ণলতা ।
অক্ষিপল্লবে জমে থাকা শিশিরবিন্দু ঝরে পড়ে ।
তবে কি, আনন্দের অশ্রুধারা?  
হয়তো, সৃষ্টিকর্তার কৃপা ।
না কি, প্রকৃতির আশীর্বাদ কিংবা প্রতিশোধ ।
কে জানে?
শীতল অপরাহ্ন ।
প্রেয়সীর ভালোবাসা, মার্জিত-নম্র স্পর্শ এবং উষ্ণতার অপেক্ষায় ।
এখানে আছে স্বর্গসুখ ও এক ঐশ্বরিক শক্তি ।
কুয়াশার ফাঁক গলিয়ে সূর্যের এক চিলতে হাসি ।
নির্বাক বসে আছি ।
নিজ আত্মার কাছে শত জিজ্ঞাসা?
জটিল হিসাবনিকাশ ।
এ মনভূমিতে স্বপ্ন এবং প্রত্যাশার বীজ অঙ্কুরিত হয় ।
আগামীর হাতছানি ।
কিন্তু ধৈর্যহীনতা, নৈরাশা এবং দুর্ভাগ্য তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ।
দুইটি ভিন্ন মেরুতে পক্ষ-বিপক্ষের অবস্থান ৷
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির তীব্র প্রতিযোগিতা ।
এক অদৃশ্য-দৃশ্যমান প্রতিকূলতা ।
তবুও, এরা দ্বৈরথে অবতীর্ণ ।
কে প্রতিষ্ঠিত হবে?