নিরব– মানবহীন সৈকত ।
আমি একাকী ।
মৃদু বাতাসের স্পর্শে শিহরিত ।
পরিশুদ্ধ মন আগামীর স্বপ্ন আঁকে ।
অপ্রত্যাশিত পদার্পণ ভীত শামুককে থমকে দেয় ।
এ যেনো তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ।
নিজেকে আত্মরক্ষা করতে বাধ্য হয় খোলসের ভিতর ।
প্রকৃতপক্ষে, এ অনৈতিক কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার দাবী রাখে ।
রোদের আলোয় তপ্ত বালুকণাতে মুক্তা জ্বলে ।
লাল কাঁকড়ার দিক বিদিক পথচলা ।
হতে পারে, ওর জীবন সংগ্রাম ।
না হয়, কোনো উৎসব ।
কিংবা স্বজন হারানো আর্তনাদ ।
অথবা, প্রেয়সীর প্রতীক্ষা ।
কে জানে?
না কি, শিকারী চিল থেকে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা ।
সুনীল আকাশের ধবধবে সাদা মেঘ হারিয়ে যায় অজানা গন্তব্যে ।
যাওয়ার সময় অন্তহীন সমুদ্রকে ছায়া দেয় ।
হয়তো, লাজুক হাসে সমুদ্র ।
রঙধনুর রঙে দিগন্ত সেজেছে নববধূ ।
হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ধনুক বাঁকে ঝাউগাছ ।
দুর্বার গতিতে উড়ে যায় দিকভ্রান্ত শঙ্খচিল ।
উদ্দাম বালুঝড় মুছে দেয় মানব পদচিহ্ন ।
পুব আকাশের কপালে কৃষ্ণবর্ণ তিলক ।
ধেয়ে আসা উত্তাল ঢেউগুলো তটভূমিতে বিধ্বস্ত হয় ।
যেনো অবিরাম মাতাল নৃত্য করছে তীরের বুকে ।
বাস্তুচ্যুত লতা, গুল্ম, বালুকণা ও তীরের আর্তনাদ কানপেঁতে শুনি ।
কিন্তু জানিনা, এটি কি প্রকৃতির বিচার– না অবিচার ।
সমুদ্রের গর্জন আমাকে কাঁপিয়ে তোলে ।
তার অপরিমেয় ক্ষমতা দেখে আমি স্তম্ভিত, ভয়ার্ত ।
বিষন্ন মনে দাঁড়িয়ে থাকি ।
দীর্ঘশ্বাস নেই!
এক সময় ফিরে আসি ।
অজনা রহস্যেঘেরা প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য এখনো কাছে টানে ।