সেই চোখ
---------
অনেক রাত, মানুষেরা ঘুমিয়ে থাকে
তবু গভীর রাত অবধি তাকিয়ে থাকে এক চোখ;
মায়াবী নরম মখমলের মত সে চোখ;
সে চোখ পৃথিবী দ্যাখে, দ্যাখে এই পৃথিবীর বেঁচে থাকার বিতর্কিত বিমূর্ত সংগ্রাম।
তারপর  অনেক দিন হলো, সে চোখ আর দেখা গেল না আমাদের রাস্তায়,পার্কে,পুকুরের ধারে,গোলাপের বনে;
যদিও তার আনাগোনা থাকে না ঐ লর্ডদের অফিসের ধারে--কাছে, অথবা ধনিদের প্রাসাধের ইটের গাঁথুনি বেয়ে অথবা এত সব রাজনীতির কূটে।
একদিন সে চলে গেল কিছু না বলে--চুপিসারে; সন্ধ্যার পাখির মত বিষন্নতার তিমিরে।
তারপর আবার হলো দেখা সেই চোখ; দেখলাম আমার বিলীন চোখে শক্তিমত্ত অথচ কোমল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে রাজপথ ঘিরে, রক্তাক্ত শরীরের কণার ভিতরে, মৃত্যু পথযাত্রী বীরের শহীদি জামার পতাকায় আর সেখানে তার কি মমতা!
জানি না আমি, সে চোখ কোন নারীর না পুরুষের, আমার চোখের ঘোর কাটতেই তাকে আর দেখা হলো না,
এরপর  বহুদিন হবে সেই চোখ ভেসে আসে পলাশ ফুলের মত এক গভীর নীল সুউচ্চ নীলাকাশের নীচে নিয়ে এক বিরাট শূণ্যতা আর গভীর নিরাবতা।
অনেক রাতে পৃথিবীর সব মানুষেরা ঘুমিয়ে গেলে একটি চোখ শুধু তাকিয়ে থাকে একদৃষ্টে দূর থেকে ঘুম কেড়ে নিয়ে, নির্ঘুম রাত উপহার দিয়ে; প্রায় প্রতিদিন হবে, ব্যথা বিলিয়ে বিলিয়ে খুব কাছে আসে নিরবে ভালোবাসা হয়ে। কে সে? জানি না।
জানি শুধু সব কিছু করতে পারে সে; বিরাট ব্যাকুল, ক্ষমতা অপরিসীম, হিপনোটাইজ করে দূরে থেকে আমাকে, আমাদের, তোকেও---
সেই চোখ এমনি অধীর, চির চঞ্চল!