ধূসর রং আর স্মৃতি
------------------
এখন স্মৃতি গুলো মনে নেই
বিস্মৃতির অন্ধকারে হারানো মুখের মত তুমি
অথবা তাহারা সব,
দেখ বাতাসে  চৈত্রের ধুলো আর গরম বাতাস
স্মৃতি কাতর রৌদ্রের ধাঁ-ধাঁ দুপুর যেন,
আমি তৃষ্ণার্ত চিলের মত একা
শুকনো মরা ডালে বসা কাকের মত অসহায়
ধূসর ব্যথায় নিহত আমার জীবন,
তোমাদের স্মৃতি সব ঘেঁটে-ঘেঁটে ক্লান্ত হৃদয় এখন;
আকাশের নীল রং তোমার মুখের মত
আকাশের ধূসর মেঘে স্মৃতির ব্যথা যত,
সবুজ নারকেল পাতা তোমার চুলের মত
দুলে যায় বাতাসে কত যে বছর ধরে!
সেই সে কোন এক বৈকালে একমাঠ রৌদ্রের ভিতর
যেমন বুঝা গিয়েছিল হলুদ আর শুকনো পাতায় মৃত্যুর ঘ্রাণ
অথচ নিরবে এড়িয়ে গিয়ে
অকল্যাণের চিন্তা এড়াতে
মেঠো চিকন সরু সাদা পথে
দূরে হেঁটে গিয়ে
মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ নিয়েছি উদ্বেগ নিয়ে
প্রশান্ত আঁচলের ছায়ায় সেই শৈশবে;
বুবু, ভাই, আরও সব সঙ্গীদের সাথে
এক হয়ে মিশে যেতে চেয়েছিল হৃদয়,
আজ দেখি কে কোথায় হারিয়ে গেছে অবশেষে
সময়ের দ্রুততার রথে বাবার চোখও দেখি
ফিসফিস করে  কথা বলে ওঠে--চোখের ভাষায়--
শুয়ে আছে আজও বেশ  পুরাতন গাছের ছায়ায়,
তার পাশে দাদার ভাঙা কবরের ভিতর
শিয়ালের ময়লা শরীর দেখে
বলে ওঠে পুরাতন পাড়া প্রতিবেশি
কখন এসে গেছি সকলের ছেড়ে!
মনে আসে ধূসর স্মৃতি ম্লান মুখ রাশি রাশি
আজ এ ম্লান জোছনার রাতে;
দেখি ঐ আনারস বনে
চারিধারে বাঁশ ঝোপে জোনাকি পোঁকারা ওড়ে
স্মৃতির আলো জ্বালে শুধু বিরহ ধূঁ-ধূঁ,
হৃদয়ের গভীরে নীল আগুন জ্বলে
স্মৃতির বেদনায় কাতর হৃদয়
নিরাশায় ভালোবাসা ক্ষয় হয়,
শূণ্য একা-- অনেকের মাঝে আমিও হারায়
একা মানুষ আমি একাই রয়ে যায়,
জোনাকির আলো নিভে আসে
তারপর  চৈত্রের সকালে রোদ আসে ধীরে
পুনরায় মানুষেরা পৃথিবীতে নতুন দিনের শুরু গোনে
নতুন ভালোবাসায় শোণিতের গভীরে নতুন স্বপ্ন আঁকে আত্ন তৃপ্তির পূর্ণতায় লোহিত গগনে গহীন সঙ্গোপনে।