একজন মুক্তিকামী নেতার অনুভবে


আমার চোখ দুটো দ্যাখো,
ছলনার প্রতিলিপি দেখা যায় কি?
আমার চোখের রেটিনার দিকে তাকাও
তৃষ্ণার্ত ভালোবাসার প্রতিবিম্ব দেখতে পাবে,
আবেগি অশ্রুর নিঃসরণ দেখবে সহস্র কোটি বছরের ।

আমার বুকের মাংসপেশীর ভেতরে তাকাও,
হৃৎপিণ্ডের ভেতর-বাহির লাল রক্তে মোড়ানো
অস্থির প্রবাহের উত্তাল তরঙ্গ দেখতে পাবে।

আর একটু ভেতরে তাকাও, দেখো
দুঃখের দাবানলে দাহন হওয়া বহুবার আমি।
আমার শরীরের ল্যাং, প্যানক্রিয়াস, স্টোম্যাক,
ফুসফুসে তোমাকে অনুভবের তীব্র আন্দোলন !

তুমি ছিলে আমার স্বত্বায়,
তুমি ছিলে আমার অস্তিত্বে,
তুমি ছিলে আমার রক্তে,
আমার বক্ষে, শিরা-উপশিরায়।

তুমি ফিরে এলে হয়ত…
শত অন্ধকারের দেয়াল যেত দূরে সরে,
শব্দেরা খুঁজে ফিরে পেত বর্ণিল কাব্যজগৎ,
পুঁজিবাদ রাজতন্ত্রের পতনের ঘণ্টা উঠত বেজে।

তুমি ফিরে এলে হয়ত…
নিরন্ন মানুষের বুকফাটা আর্তনাদের হত পরিসমাপ্তি;
অপদার্থ সন্তান পেত বৃদ্ধ পিতার অশ্রুসিক্ত যায়নামাজ,
গলিত লাভার উদগিরন হয়ত থেমে হত শীতল ধরিত্রী।
বুমেরাং শব্দগুচ্ছ খুঁজে নিত অনন্ত নীল আকাশ।

তুমি ফিরে এলে হয়ত…
থেমে যেত ইউক্রেন-রাশিয়ার আণবিক উন্মত্ত দামামা
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি হিংস্র বর্বরতা,
নিষ্কণ্টক কাশ্মীরীদের ভারতীয় আগ্রাসন,
বার্মার মুসলিম রোহিঙ্গা নিপীড়নের নাটকীয় ইতিবৃত্ত।  


আমি মানুষের অলক্ষ্যে, মানুষের মুক্তির জন্য
কবিতায় শব্দ খুঁজি নীরব মননে।
সাম্যবাদের চেতনা ভরা বক্ষে,
উপকূল সমুদ্রে আছড়ে পরা ঢেউয়ের অন্তরালে।
রেনেসাঁ বিপ্লবের বিক্ষুব্ধ জনরোষের তীব্র জয়োল্লাসের
প্রতীক্ষায় উন্মুখ।



রচনা কালঃ  সকাল ১১.০০ মিনিট
২৭ শে এপ্রিল বুধবার ২০২২ খৃষ্টাব্দ
১৪ বৈশাখ ১৪২৯ সাল
গাজীপুর,বাংলাদেশ থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®