প্রিয়তমাসু ! কেমন আছো?
জানিনা,কোথায় আছো এখন।

আমার চোখের জলকে অস্বীকার করে,
যেদিন তুমি চলে গেলে,
পর্বতসম নীরবতা দিয়ে গেলে,
বুকের পাঁজর ভেঙ্গে চিৎকার করে বলতে গিয়েও
থেমে গিয়েছিলাম,
তুমি ফিরেও তাকালেনা একটি বারের জন্যও।

কেনো তাকালেনা?
কেনো আমাকে না বুঝেই সেদিন
তুমি হাড়িয়ে গেলে,
নীল আকাশে মিলিয়ে গেলে,
আমাকে একা ফেলে চলে গেলে?

তারপর কত চন্দ্রিমায়,অমাবস্যায়
খুঁজেছি তোমায়, নিভৃতে নিরালায়,
নীল পদ্মের ভেজা জলের বিকিরণে,
সুর্য্যের অতিরশ্মির প্রভায়।
তোমাকে হাড়ানোর যন্ত্রণা অনুভব করেছি,
হৃদপিন্ডে, ধমনীতে, রক্তের শ্বেত কণিকায়।

একাকী থাকা মানে নিঃস্ব নয়,
একাকী থাকা মানে স্বজন হারানো দুঃখ নয়।
একাকী থাকা মানে বেদনার স্মৃতি হাতড়িয়ে,
কল্পনায় শুভ্র সকাল উপলব্ধির জগৎ সৃষ্টি করা।

কি ভেবেছিলে!
তোমাকে হাড়িয়ে নিষ্প্রভ আমি?
ব্যাথার অঙ্গারে দাহন হব আমি?
শহরের বিক্ষুব্ধ প্রেমিক হব আমি?

অবসন্ন দুপুর, বৃষ্টি বিকেল, রক্তিম গোধূলি,
শান্ত নীল আকাশ, সবুজ অরণ্য
চিরহরিৎ স্বপ্নের মধুময় রাত,
কেনো? এসবের কোনো কিছুর অভাব তো,
আমার, আমার মধ্যে ছিলোনা!

মানুষ একা হলে নাকি স্মৃতির সাথে
আলাপ চারিতায় নিজের একটা আলাদা
সঙ্গী খুঁজে পায়? পুরনোকে আঁকরে
বেঁচে থাকার তীব্র অভিপ্রায়ে উপলব্ধি করে
জীবন এবং নিঃসঙ্গতার নিরেট পার্থক্য।

যে মানুষ তার প্রয়োজনে আমাকে ছেড়ে গেছে
যে মানুষ প্রিয়জন ছুড়ে ফেলে,
স্বার্থপর হতে কৃপণতা করেনা,
দাম্ভিক মানবীর বেশে ঐশ্বর্য্যের প্রেমে পড়ে,
সে আর যাইই হোক, কারো প্রেমিকা হতে পারেনা।


রচনা কালঃ  বিকেল ৪.০০ মিনিট
১৮ই জুলাই  সোমবার  ২০২২ খৃষ্টাব্দ
গাজীপুর , বাংলাদেশ থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®