প্রিয় মানুষের মুখের দিকে তাকালেই,
কেমন যেন একটা অস্থির অনুভূতিতে
শিহরিত হই প্রতিবার !
মনে হয় একটা অতৃপ্ত তৃষ্ণার গহ্বরে
নিজেকে লুটিয়ে রেখেছিলাম
বহু শতাব্দি চাদরে ঢেকে।
প্রিয় মানুষটির দিকে তাকালেই একটা
পরিচিত আস্থাযুক্ত সুগন্ধ সমীরণ
এসে পুরনো এ শরীরে ছড়ায় আবেশ ।
প্রিয় মানুষটির দিকে তাকালেই,
শব্দের স্রোতে বান ডাকা বাক্য হাড়ায় কবিতা,
লোপাট হয়ে যায় আবেগী মোহনা !
প্রিয় মানুষটির জন্য অনাদিকাল
প্রতীক্ষায় লাগেনা বিরক্তির তেজক্রিয়
প্রতাপ, যেন আজন্ম বসে থাকি
পুস্প বিছানো পথে।
প্রিয় মানুষটির শাসন বারনের নেপথ্যে
থাকে দয়া, মায়া, আর নিখাদ
ভালোবাসার এক সুবিস্তৃত আকাশ।
প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে লিখতে বসলেই
কঠিন হয়ে আসে শব্দমালা, যেন মনে হয়
রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে লিখছি।
একটা উন্মাতাল সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে
প্রিয় মানুষটির হেটে চলা পথের বাতাসে,
তৃপ্তির আঘ্রাণে শীতল হয় অন্তরাত্মা।
সহস্র বছর বাচতে চাই,
তোমার হাতের স্পর্শে হতে চাই মহিয়ান,
রক্ত গঙ্গায় ভাসবো তোমার নিরাপত্তায়।
প্রিয় মানুষটি হাড়ানোর প্রতিবাদে
রাস্তায় শুরু হবে মানুষ পোড়ানো অভিযান,
উন্মত্ত রাইফেলের বিকট শব্দে হবে সুর্যাস্ত।