একাকিত্ব আর নিরবতা খুবি কাছাকাছি না হলেও
তাদের একই সরল রেখায় অবস্থান,
কিন্ত প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
কারোর কারনে আপনি হন একাকিত্ব অথবা
কারোর কোন কারণে আপনি হন নিরব।
একাকিত্ব একটি জৈবিক বিষয়
কিন্ত নিরবতা হলো মানবিক।
একাকিত্বে সৃষ্টি হয় হিংস্রতা আর
নিরবতায় নিস্প্রভতা।
একাকিত্ব হলো ফেরারি দুঃসময় যেখানে
নিরবতা ব্যাকুল নিদাঘ তিয়াসা।
একাকিত্ব সময়কে একাকার করে তোলে আর
নিদারুন নির্মমতার অংগারে দাহন করে নিরবতা।
হাজার বছরের প্রতিক্ষার নাম একাকিত্ব,
বিদগ্ধ আত্মার গগনবিদারী আর্তনাদে কেপে ওঠে নিরবতা।
দিন-রাত্রীর মধ্যে পিঠে সওয়ার হয় একাকিত্ব,
নিরবতার থাকেনা কোন নিরবচ্ছিন্ন গতি।
একাকিত্ব একটি হিমায়িত শহরের প্রারম্ভিক দুয়ার,
যেখানে উন্মুক্ত উদ্যানে উদ্দীপ্ত গোলাপের স্ফুটনই নিরবতা।
একাকিত্বের হয়না কোনো বিশেষণ কিংবা বিয়োজন,
নিরবতার নির্লিপ্ত চোখের অন্তর্কোণে থাকে
কামনার নহর।
উদাস হাওয়ায় ঘরে ফেরা পথিকের
আরক্ত একটি সন্ধ্যার দ্বীপ হলো একাকিত্ব।
কবিদের বিক্ষুব্ধচিত্ত অন্ধকারে ঝলসে ওঠা
আবেগি প্রহর হলো নিরবতা।