কবিতাটি পথ শিশুদের উদ্দেশ্য রচিত-২০০৯ ইং
.............................................
ভীত সন্ত্রস্ত চারদিক
মানুষের হাহাকার আর চীৎকার ধ্বনি
ছাড়িয়ে গেছে অসীম আকাশ সীমা।
তবুও কেন যেন পুলকিত হই মধুচন্দ্রীমায়,
নতুন জীবনের আহ্বান পেলে,
উচ্ছ্বসিত হই,আবেগের নদীতে
স্বাপ্নিক স্নানে।
কোন গল্প নয়,কোন কবিতা নয়,
নয় কোন নতুন ভাষায় ব্যাক্ত করা সিক্ত প্রলাপ।
হাসি-কান্না,বিরহ-বেদনায়
দুঃখ-সুখের অব্যাক্ত ধ্বনি গুলো
কেবল তাদের কুঁকড়ে কুঁকড়ে কাঁদায়।
আমিও দেখেছি নিয়ন আলোয়
করুণ আকুতি মাখা নিরব হাসি,
আর ক্লান্তির দীর্ঘশ্বাস।
পাপ আর কলংক যাদের স্পর্শ করেনি আজো,
নিবিড় ছন্দে,চটুল গানে,
ওরা বয়ে বেড়ায় তটিনীর সুর।।
সমাজের অর্থ দীপ্ত গ্রহপুঞ্জরা !
এখনো ঘুমিয়ে আছো আভিজাত্যের মখমল চাদরে ?
এখনো কি স্বপ্নের ভিতরেই খুঁজছো
নীল হলুদ সুখের ফোয়ারা ??
এদিকে বিপন্ন নক্ষত্র
শীতের ঝড়া পাতার মত রুক্ষ ও অবর্ননীয়!
তবুও বেচে থাকার তীব্র অভিপ্রায়ে উন্মাতাল।
জেগে ওঠো
চেয়ে দেখো তরুণ নক্ষত্রের
ঝড়ে পড়ার অপ্রস্তুতি!
যে কিনা আর্তনাদের ডানা ঝাপটিয়ে
গোগ্রাসে পান করছে, মৃত্যু নামের
তৃষ্ণার্ত মরুভূমির প্রখরতা।