[ শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-সাত ]
উত্তম আশা
-অসিত কুমার মন্ডল
চাই না প্রভু বড়ো হতে এ বিশ্ব ধরাধামে;
যা কিছু মোর হৃদয় বাসনা উৎসর্গিলাম তব নামে!
জীবনের যতো বাসনার ধন,
ভেবেছি তোমারে তুমিই আপন-
তুমি আছো চলার পথে আমার ডাইনে বামে ।
চাই না আমি বৈভব সুখ রাখিয়াছো যে দুখে!
যে আহার তুমি যোগায়েছো প্রভু আমার এই মুখে।
তোমায় যেন আরোধনা করি;
অহর্নিশি তব নাম ধরি-
বিভ্রাটে কভু পড়ি যদি প্রভু শান্তনা দিয়ো বুকে।
আমি চাই না কভু শৈল সম বিলাস-কুঞ্জ-গেহ;
অধম বলি আমায় ভাল নাইবা বাসে কেহ!
ভাবি আমারে সতত সুখী,
যতই আমি হই না দুখী-
দু:খ-সুখের মাঝে আমায় দিয়ো নিরোগ দেহ!
আমায় আমি খর্ব করি, গর্ব পরিহরি;
ভুবন মাঝে নিত্য কাজে তোমায় যেন স্মরি।
ভুলে কভু তোমার কথা,
তোমায় যেন না দিই ব্যথা-
তরাই যেন সকল বাধা তোমার ধ্বজা ধরি।
আমি চাই না হতে মহা ধনী মহা ধনবান;
তোমার ভজন-সাধন মাঝে করি আত্মদান।
শান্তি যদি নাইবা থাকে,
অশান্তিরই ঘুরপাকে-
সৃজন পথে আমায় প্রভু করো সুমহান!
চাই না হতে জ্ঞানের রাজা আত্ম-অহংকারে;
তোমার জ্ঞানের প্রকাশ করো এ চিত্ত মাঝারে!
তোমার জ্যোতির দিব্যজ্ঞানে,
জগত মাঝে সুসম্মানে-
বাঁচতে পারি মানুষ হয়ে সব মানুষের ধারে!
চাই না আমি স্বার্থ লাগিয়া বাঁচতে ভুবন পরে;
চাই না আমি হিংসা-বিদ্বেষ রাখতে হৃদয়ভরে।
নত শিরে তোমার পানে,
ভরাও মোরে ভক্তি জ্ঞানে-
অহিংসার দীপ্ত-শিখা জ্বালি এ অন্তরে।
জৈষ্ঠ্য-১৩৯৪ বঙ্গাব্দ।
[ কাব্যগ্রন্থ- শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-এর অন্তর্ভূক্ত]