[ শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-এক ]
( জীবনের প্রথম যে কবিতা দিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম।)

       টাইগার
         -অসিত কুমার মন্ডল

টাইগার নামখানা, নয় কারো অজানা,
সুন্দরবনে তার আস্তানা,
সেথায় তিনি বড় এক মাস্তানা!

ক্ষুধা পেলে, থাবা মেলে,
বসে থাকে চোখ জ্বেলে।
পেলে একটু গন্ধ, মনে লাগে সন্ধ,
আড়ালে শুটিয়ে, লেজখানা গুঠিয়ে;
দেখে চেয়ে চেয়ে উঁকিয়ে।

মস্তবেটার শরীরখানা,
খেয়ে তাজা খানাপানা।
হরিণ গুলো ডরের চোটে,
পাতার সুরে পালায় ছোটে!

আরতো সকল পশু-পাখি,
বেটা ছাড়া দূরে থাকি।
আড়ালে আড়ালে থাকে,
বাঁচায় কেবল প্রাণটাকে!
ব্যাঘ্র বেটা বাগে পেলে
ধরে সেটার আস্ত গেলে!

এই ভয়েতে শিয়াল গুলো,
লুকায় চোখে দিয়ে ধূলো!
হককা হককা ক’রে ডাকি,
গর্তে পালায় দেয় ফাঁকি।

শুনলেই যেন নামটা,
কেমন করে মনটা।
লিখলাম তাই ভয়ে ভয়ে!
ব্যাঘ্র বেটার নাম লয়ে।

[ কাব্যগ্রন্থ- শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-এর অন্তর্ভূক্ত]