নীরব রাত্রির বুকে
অন্ধকার নামে ঘন কূয়াশায়।
হৈমবতীর হিম বাতাসে---
শৈত্যপ্রবাহের নিমগ্নতা।
শীতলতা জাপটে ধরে---
নীরব, নীথর, নিস্তব্ধ
গ্রাম গুলোর জলজ শরীর।
ভগ্ন-কুঁড়েঘরে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার
অনাবৃত দেহ কুরে কুরে খায়--
পৌষের হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা!
শহরের ফুটপাতে টোকাই ছেলেগুলো
গুটিসুটি হ'য়ে প'ড়ে থাকে---
কুয়াশার চাদড় মুড়ি দিয়ে!
অবোলা প্রাণী কুকুরের মতো!
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব আর পশুতে--
যেন নেই কোনো ব্যবধান।
সারারাত শিশির বিন্দু--
টুপটাপ ছন্দ তোলে গাছের পাতায়।
বৃষ্টি হ'য়ে ঝরে পড়ে ভূমিতে।
ভিজে যায় সবুজ তৃণদল,
বাড়ি-ঘর, বৃক্ষ - তরুলতা।
শধু কেবল ওরা ভেজে না।
গায়ের পশম দিয়ে--
আবৃত রাখে নিজের শরীর!
কেননা ওরা রাতের নির্জন প্রহরী।
বেতনবিহীন পাহারাদার।
তাং-- ১০/০১/১৮
[ নীরব রাত্রির বুকে- কবিতাটি-‘বিধ্বস্ত জীবন’- কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত]