নষ্টরা যখন সমাজ নিয়েছে দখলে!
তাদের গন্ডিতে আমরা যেন সকলে।
আইন, শাসন, প্রশাসন সব নীরব;
চারিদিকে শুধু ব্যর্থ নিয়মের কলরব।
মানুষরূপী নষ্ট জীবের আস্ফালন,
কে করবে এই সমাজ প্রক্ষালন?
এতো স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
এ সব কাদের জন্য? কিসের অবদান?
জ্ঞানীরা যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে,
সমাজ আক্রান্ত অসভ্য, দুর্নীতি রোগে!
ছাত্ররূপী দানবের কাছে শিক্ষক আক্রান্ত;
আমাদের শিক্ষা বেঠিক নিয়মে বিভ্রান্ত!
পথ-ঘাট, শহরের অলি-গলি আজ;
মনুষ্যরূপ বেজন্মার নেশার কারুকাজ!
মদ্য-মাতাল-ধূমপায়ী-গাঁজাখোর যতো
সমাজের নিরীহ মানুষদের করছে আহত!
মান-সম্মান আজ জিম্মি এদের কাছে!
আপনি নালিশ জানাবেন কার কাছে?
ভক্ষক যখন হয়ে যায় সমাজের রক্ষক;
তার কাছে সকল নিয়মের কথাই টক!
যার কাছে তুমি বিচার দিবে সেই যখন;
অপরাধের আশ্রয়দাতা কি করবে তখন?
সমাজ আজ বিভ্রান্ত-শিক্ষা যেন অসহায়!
সভ্যতার এ যুগেও আমরা চলছি মূর্খতায়!
কে করবে এর অবসান? জ্ঞানীরা কেন?
দিনে দিনে সব মৃত সাপের মতো যেন!
তোমরা নীরব-নি:স্তেজ-নির্লিপ্ত কেন সব?
তোমদের কলম কখনো মানেনি পরাভব!
ধরো শাসন-প্রশাসন-আইনের গলা চেপে;
যেন আর অনিয়মে না ওঠে ফুলে-ফেঁপে!
তাং-২৫/০৫/২০২৪
[ কাব্যগ্রন্থ- বিস্ময় জন্ম আমার-এর অন্তর্ভূক্ত]