তোমাকে সাথী করার
সময় যে নেই প্রিয়তমা।
মৌমাছি জীবনটা নিশানাহীন
উড়ে চলে দিক-বিদিক।
বাতাস কি থামানো যায়?
স্বতঃস্ফূর্ত সে যে বায়ুমণ্ডলে।
পৃথিবীটা সতত স্থির-নিশ্চল
বোকা সূর্যটা ঘোরে চারিদিকে।
আর চাঁদ শুধু বিভাবরীর
তিমির বিনাশনে ব্যস্ত।
ফুল শুধু ফোটে গাছে গাছে
বাতাসে গন্ধ ছড়ায়।
চাইলেই বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে--
উড়ে কাছে আসেনা।
উড়ন্ত পাখিকে ধরতে গেলে
সে কি কখনো ধরা দেয়?
অনন্ত আকাশ যাদের
ওড়ার শোঁ শোঁ শব্দে ব্যাকুল।
তাদের কি আলোর ঘরে
সোনালি খাঁচায় বন্দি করা যায়?
ভেবো না প্রিয়তমা। একদিন যদি
নিষাদের শরে বিদ্ধ হ'য়ে --
আহত ক্রৌঞ্চের মতো
ভুতলে লুটিয়ে পড়ি কখনো!
তুমি বিরহীনি ক্রৌঞ্চীর মতো
বিলাপ করবে চারপাশে!
অকস্মাত বাল্মীকির ধ্যান ভঙ্গের মতো
ভেঙে যাবে গভীর ধ্যান।
সহসা কণ্ঠে নি:সৃত হবে
আদিকবির প্রেমময় বাণী।
নতুন এক কবিতা হ'য়ে--
যে কবিতায় শুধু তুমি।
তাং--২৯/১১/১৭
[ যে কবিতায় শুধু তুমি- ‘ফাগুনে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত।]