[ শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-তিন ]

দুর্বোধ্য নাম
-অসিত কুমার মন্ডল

ছিল এক ভাগ্নের নাম সমাদন্ত,
নামটার অর্থের নেই কোনো অন্ত।
খোঁজাখুঁজি হলো বহু বড়ো বড়ো অভিধান;
খুঁজে তবু অর্থের মিলল না সন্ধান!

ঠিক হলো বৈঠকে পন্ডিত যতোসব,
বিচারিতে নামটার হইবে না পরাভব।
জিজ্ঞাসিলেন একে একে সকলেরে সভাপতি;
বলো দেখি সভাসদ-আছো যতো মহামতি।
বড়ো বড়ো জ্ঞানী-গুনি মস্ত হেডওয়ালা;
সকলেই নাম শুনে হইলেন বিবভোলা!

কেউ বলে সারা বয়সে শিখিয়াছি যাহা কিছু;
ধুয়ে বুঝি যাবে সব এইবার এর পিছু!
কেউ বলে দেখি ধ্যানে জানিয়া গোপনে;
নামটার অর্থ আছে বিশ্বের কোন কোণে।
কেউ বলে নামটার হয় চার অক্ষর
নিশ্চয় আছে তবে ইহাতে মহা চক্কর!

কেউ বলে আমি জানি ঐ হিমাদ্রী শিখরে;
কেউ বলে, বল কিহে!ওখানে গেল কি ক’রে?
কেউ বলে, শুনে ছিলাম স্বর্গের কাননে;
কেউ বলে তুমি হেথা গিয়েছিলে কেমনে?
কেউ বলে আমি জানি তোমরা কেউ জানো না;
বড়ো বড়ো লেখকের বই কেউ পড়ো না।
কেউ বলে তোমরা কেউ রামায়ণ পড়েছো?
বিচারিতে নামটার পণ্ডিত সেজেছো?
কেউ বলে শোনো এবার নামটার কাহিনী;
চুরি করে নিয়েছিল কবিদের বাহিনী!

কেউ বলে, বলো যাহা মিথ্যে সব শুনি;
বলেছিল নামটা বাল্মিকী মহামুণি!
কেউ বলে সব বলো শ্রাদ্ধের পিণ্ডি;
কেউ বলে, তবে নামটার অর্থ কি হগারামচণ্ডি??
[ কাব্যগ্রন্থ- শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-এর অন্তর্ভূক্ত]