[ শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-দুই ]

     ডিভিশন
         -অসিত কুমার মন্ডল

ছিল এক ফার্স্ট ক্লাসের ছাত্র,
পড়াশুনা শুধু নামে তার মাত্র।
পরীক্ষা সম্মুখে ছিল তার আগত,
উদাসী মনতার পড়া থেকে বিরত।
যেতে হবে পরীক্ষায় আগামি দিনিতে,
ইংলিশ পড়বো না কষবো কি গণিতে।
হিজিবিজি চিন্তায় খারাপ হলো মাথাটা,
ভরল পকেটে তাই নকলের তোড়াটা।
যেয়ে দেখে আসনটা পড়িয়াছে পিছন,
উল্লাসে মন তার ভরে গেল ভীষণ!
হাতে পেলে প্রশ্ন দেরিতো নয় আর,
মনে কয় সেজেছিতো নকলের সরকার।
প্রতিদিন যায় হলে টোকা ভরি পকেট,
রেজাল্ট বেরুলে বলে হবে এ্যাডভোকেট!
পরীক্ষা হলো ভালো দিয়ে টোকা উত্তর,
সকলের সাথে বলে ভাল আমি ছাত্রর।
বইগুলো কেটে সব হয়েছে সারা দফা,
পরীক্ষা শেষে ছেলে দিয়েছে ইস্তফা।
লেখাপড়া এমনি চলছে ফক্কিকার,
কেহবা টুকে আর কেহবা ঘুষে পার।
ছাত্ররা ভাবি ইহা পড়াশুনায় অনশন,
নকলের কারনেই পেয়ে যায় ডিভিশন।
জৈষ্ঠ্য-১৩৯৪বঙ্গাব্দ।

[কবিতাটি-শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত]