[ শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-আট ]
         বিষাদ
    -অসিত কুমার মন্ডল

দুঃখে যদি জীবন গড়া
দুঃখ নিয়ে দুঃখ কি?
সুখের নেশার ভাবনা হারা
চিন্তা ক’রে সুখটা কি?

দুঃখ যাদের জীবন সাথী
তখন ওরে কিসের ভয়?
বিষাদ-সমর-রণে মাতি
সংগ্রামে করবো জয়!

কান্না কিসের লোচন ভ’রে
ঝরাস কেন নেত্র জল?
বিষাদ বলে জীবনটারে
ভাবিস কেন তুচ্ছ বল?

তমসাঘোর নিশি এলে
ব্যপ্ত করি মায়াজাল;
অন্ধ করি ভুবনটারে
রাখে না ওরে চিরকাল।

আবার আসে দিনমণি
রাঙিয়ে ওঠে পূবাকাশ;
থাকে না আর পৃথিবীর তখন
বক্ষভরা হাহুতাশ!

ক্ষণেক দুঃখ সমারাঙ্গনে
করিসনে তাই হাহাকার;
সহ্য কর, ধৈর্য্য ধর
দুঃখ নাহি থাকবে আর।

করিসনে কেউ বিমর্ষ-বিলাপ
নিত্য শোকের কারখানা;
বিষাদ-বেদন যদিও এসে
হৃদয় মাঝে দেয় হানা।

ভুলে যারে সকল দুঃখ
ব্যাথাহত যদিও বুক;
এগিয়ে চল কর্ম-রণে
পাবি আবার নবীন সুখ!

দুঃখের পরশে তিক্ত হয়ে
করিসনে মনে অশান্তি;
তিক্ত দুখে সিক্ত হ’য়ে
পাবি রে নিবিড় প্রশান্তি!
বৈশাখ-১৩৯৪ বঙ্গাব্দ।

[ কাব্যগ্রন্থ- শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-এর অন্তর্ভূক্ত]