[ শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-চার ]
বিদ্যামন্দির
-অসিত কুমার মন্ডল
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
জ্বালবি যদি জ্ঞানের আলো,
ঘুচিয়ে সকল আঁধার কালো-
চল রে সবে শিক্ষারী আলায়।
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
নতুন পথের পথিক যারা,
নাইরে উপায় শিক্ষা ছাড়া-
যাসনে ভেসে কুশিক্ষার হাওয়ায়।
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
দিসনে জীবন ব্যর্থ ক’রে,
পাবি নে সেই সময় ওরে-
অবশেষে কাঁদবি তোরা অনুশোচনায়!
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
ভজন-পূজন-সাধন বিহনে,
হয় না মানুষ মানব জনে-
জানে না কেউ আসল পরিচয়।
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
অবুঝ-পাগল নামটি নিয়ে,
লাভ কি ঘুরে ভুবন দিয়ে?
অজ্ঞানেরি অবোধ-কারখানায়!
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
শিখবি যদি চলরে তবে,
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলছে যবে-
নিত্য-জ্ঞানের প্রদান মেলায়।
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
যেতে তোদের নেই যে বারণ,
সেই পথে কর অনুসরণ-
হবে সকল মলিনতার ক্ষয়!
ওরে নবীন শিক্ষানবীশ-
আয়রে তোরা আয়।
কার্তিক-১৩৯৬ বঙ্গাব্দ।
[ কাব্যগ্রন্থ- শৈশব ও কৈশোরের কবিতা-এর অন্তর্ভূক্ত]
[[ সম্মানিত বন্ধুরা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আমার মৌলিক দেশাত্মবোধক সংগীত গ্রন্থ-“দেশবোধন” ও “সুরের ঝিলিক” নামক আধুনিক, গজল, বিরহ-বিচ্ছেদ গানের মৌলিক সংকলন স্বরলিপি সহ। বই দুটি রকমারি ডটকম-এ পাবেন। সরাসরি বই পেতে চাইলে কমেন্টে জানাবেন। বই দুটি সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।]]