যত দূরে যাই সেই নদীর ঢেউয়ের শব্দ শুনি আমি
সেই শব্দ চুপিচুপি এসে কানে কানে কথা বলে
যখন জীবনের বোঝা বয়ে বয়ে ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে
তখন সে মিষ্টি সুরে বুকে বেদনা জাগায়
সে বুঝি মাথাভাঙ্গা নদী !
ভরা যৌবনে তাকে দেখেছি; সেই রূপ কি ভোলা যায় !
প্রেমিক কি ভুলতে পারে তার প্রিয়ার রূপ ।
মৃদু বাতাসের তালে ছোট ছোট ঢেউয়ের খেলা
আকাশে গাংচিল আর মাছরাঙাদের মিলন মেলা
বারে বারে মনে পড়ে।
হয়তো আর দেখা হবে না
রাখালের গরুর পাল নিয়ে তোমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া।
কাঠফাটা রোদে
তোমার বুকে নেমে শীতল হওয়া আর হবে না।
বিকেলের নরম রোদে গাঁয়ের কোল ঘেঁষে
তোমার বিছানো সবুজ ঘাসের চাদরে বসে
তোমার অতিথি হয়ে
তোমার সাথে আর আড্ডা জমানো হবে না।
আনমনে চেয়ে থেকে তোমাকে আর এ চোখ খুঁজবে না
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন সাগরে হারাব না আর কোন দিন ।
শহরের ব্যস্ত জীবনে তোমার কোন স্থান নেই ।
তবুও ক্লান্ত দেহে যখন চোখ বুঝে আসে
তখন জননীর মতো এসে তুমি কথা কও।
স্মৃতিকে জাগিয়ে দাও;সেই তুমি বুঝি মাথাভাঙ্গা নদী।