যেভাবে বেঁচে আছি একে কি বেঁচে থাকা বলে!
এ জীবন কুকুর বিড়ালের নাকি মানুষের?
একটা কাজের জন্য
বাবুদের পায়ের কাছে হাত জোড় করি বসে থাকি!
ভেতরে ভেতরে কান্না বুক ঠেলে ওঠে
আমি সব কষ্ট লুকিয়ে একটা স্বপ্নকে আলগে ধরি
ছোট হতে হতে
আরও ছোট হয়ে অপমানে মাথা নিচু করি বসে থাকি।
পকেট খালি, মাথাতেও নেতার হাত নেই
কে আমাকে টাকা ধার দেবে!
ব্যাংকের লোন ডিভিশনের কেউ কথাই বলে না
যারা প্রজেক্ট নিয়ে বসে আছে
তারা ক্ষুধার্ত বাঘের মতো আমার দিকে তাকায়।
মাঝে মধ্যে মনে হয়
একটা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বেলে সব জ্বালিয়ে দিই।
রাতের অন্ধকারে ভয়ংকর ভাবে আলো চোখে এসে পড়ে
ঘুমাতে পারি না! খালি পকেট নাকি শিল্পের জন্ম দেয়!!
রাত জেগে জেগে কবিতা লেখি- ‘ব্যর্থ জীবনের ওপারে ক্ষীণ আলো’
ঘুমহীন চোখে অদ্ভুত আঁধারে খুঁজতে থাকি বেঁচে থাকার রোমাঞ্চ।
হঠাৎ হঠাৎ স্বপ্ন দেখে চমকে উঠি
দেখি ঈশ্বরের পাশে তোমাদের স্থান
আর আমি থালা নিয়ে
ভিখারির কাছে হাত পেতে দাঁড়িয়ে বলছি
‘কয়দিন হাতে কাজ নেই, দু’একটা টাকা দাও।
এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়’!!
মাছের বাজারে, মাংসের বাজারে যাওয়া ভুলে গেছি
প্রথম শীতের প্রতিটি সন্ধ্যাবেলা
চাইনিজ রেস্টুরেন্টেগুলোয় নিয়ন আলোয় ভরে ওঠে
সুন্দর মুখগুলোয় পরিতৃপ্ত হাসি ঝলকে ওঠে
এসবের ভিড়ে জীবন থেকে প্রস্থানের পথ খুঁজতে থাকি।