ধর্ষিতার চিৎকারে বিবেকের কানে তালা লেগে যায়
টিভি সংবাদের হাহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে
সংবাদপত্রের রক্তাক্ত পাতায় নিঙড়ানো আর্তনাদ ফুটে ওঠে
বিচার চাইতে গিয়ে বাবা
লাঞ্ছনা আর অপমান নিয়ে মাথা হেঁট করে বাড়ি ফিরে এসেছে।
সে যন্ত্রণা বুকে আমাদের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়
আমরা কি এখনো মানুষ?
হায়েনার অট্টহাসির প্রতিধ্বনি তোমরা কি শুনতে পাও?
মোচড়ানো ব্যথার কাতর স্বর
ব্যক্ত করার দিন হয়তো তোমাদেরও একদিন আসছে!!
সে মানুষের কাছে ফরিয়াদ জানায়, সমাজের কাছে ফরিয়াদ জানায়
রাষ্ট্রের কাছে ফরিয়াদ জানায়, বিধাতার কাছে ফরিয়াদ জানায়
সে সবার কাছে পদাঘাত খেয়ে
আমাদের অভিশপ্ত নগরীতে ভাঁড় সেজে ফিরে আসে।
সে ছিল মানুষ; কেমন করে ভাঁড়ের জীবন বইবে সে?
ট্রেন লাইনে মাথা দিয়ে কাঁদছে দু’জন মানুষ বাবা ও মেয়ে
জীবন মৃত্যুর মাঝখানে কয়েক ফোঁটা চোখের জল
ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন দেহ, ছিটকে যায় রক্ত
যেন নিদারুণ এক শিল্পকর্ম!
তখন আমাদের মনুষ্যত্ব লাল আভায় লজ্জাহীন সূর্যাস্ত।
এসেছে হাজার হাজার মানুষ, এসেছে পুলিশ ভ্যান
সাংবাদিক এসেছে ক্যামেরা ঝুলিয়ে শুটিং করতে
দুর দূরান্ত থেকে এখনো আসছে মানুষ, আসছে গাড়ি
তারা ওখানে কেউ কিছু দেখেছে? সত্যিই দেখেছে?
না, কিছুই দেখেনি!! তারা একে অপরের মুখ চেয়ে আছে!
যেন কিছুই দেখেনি; কিছুই ঘটেনি!!
ওদিকে ওরা বাংলাদেশের বুকে বসে
মদের পেয়ালায় ফুর্তিতে রাত্রি কাটায়
এসব দেখেও আমরা জেগে উঠি না, ক্রোধে ফুঁসে উঠি না।
শুধু রক্তাক্ত বেদনার লজ্জার ইতিহাস লেখে যাই
সমাজ নষ্ট, নদী নষ্ট, বিচার নষ্ট; নষ্ট বাংলাদেশ।